সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
দালালের প্ররোচনায় কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তা কর্তৃক সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সুফিয়া আক্তার শেফালী নামক এক ভুক্তভোগী ১৪মার্চ বেলা ১২টার সময় কক্সবাজার আদালত চত্ত্বরে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা পরবর্তী জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপি সুত্রে জানাযায়, কক্সবাজার পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ড বাদশা ঘোনা এলাকার বাসিন্দা সুফিয়া আক্তার শেফালী প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের অর্থে নির্মিত বাড়িতে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছেন।
শেফালীর বাড়ির পাশ্ববর্তী এক প্রতিবেশী নিজ দখলে থাকা পাহাড় কাটছেন। এই প্রতিবেশীর অনুরোধে মাটি কাঠায় নিয়োজিত শ্রমিকদের মাটি বহনে পথ স্বল্পতা হওয়ার কারণে তাদের অনুরোধে শেফালীর বাড়ির উঠান হয়ে আসা-যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়।
কিছুদিন অতিবাহিত হতেই বেপরোয়া মাটিকাটা নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে সিরাজ কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের বিতর্কিত কর্মকর্তা সিনিয়র কেমিস্ট আবদুস সালামকে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করতে পাঠায়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা আবদু সালাম পাহাড়টি শেফালী কেটেছেন এবং তার বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা করা হবে বলে নানা তর্কাতর্কি করেন।
অন্যজনের পাহাড় কাটা মাটি আমার উঠান বেয়ে যাচ্ছে তাই বলে আমি কেন মামলার আসামি হব বলে প্রশ্ন করেন এই কর্মকর্তাকে। একটি অসহায় পরিবার হিসাবে তাদের চাওয়া পথ দিয়ে আমি কি অপরাধ করেছি বলে প্রশ্ন করা হলে একপর্যায়ে তিনি ঘটনাটি নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তাই সাংবাদিকদের খরচ দিতে হবে নতুবা মামলা হবে বলে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন।
আমি একটি অসহায় দরীদ্র মানুষ হিসাবে তার চাহিত টাকা দেওয়ার সামর্থ না থাকায় বিষয়টি নিয়ে শেফালী কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালকের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন। যাতে মাননীয় হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল ব্যবস্থা নিতে সুপারিশও করেন। পরিবেশের এই কর্মকর্তা অভিযুক্ত আবদু সালামকে সামনা-সামনি ডেকে জিজ্ঞেস করেন। তিনি সিরাজ এবং অন্য একজন সাংবাদিকের কথায় গিয়েছেন বলে জানান। এ সময় তাদের কথায় আমার অভিযোগের কোন বিচার হবেনা বুঝতে পেরে স্থানীয় দালাল এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের এই বিতর্কিত কর্মকর্তা কতৃক মিথ্যা মামলা চাঁদাবাজি এবং নানামুখী হয়রানি থেকে পরিত্রাণ পেথে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন বলে জানান শেফালী।
শেফালী আরো বলেন তারা এখন বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে হুমকি দিচ্ছেন। আমি নাকি তাদের কিছু করতে পারবনা, তাদের সাথে প্রশাসনের সকলের সাথে হাত আছে। তাই আমি জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান করেছি।