একদিন হয়তো চলে যাবো পাতা ঝরা পথে,
ফিরবো না এই আমি,
ফিরবো না হয়তো।
এই পথ মিশে যাবে অন্য এক পথে,
অনন্তে অসীমে।
সুগভীর সমুদ্রের মতো,
তোমার অতলস্পর্শী চোখের তারার ভাষা,
পড়বো বলে কিনে নিয়েছি,
পৃথিবীর সমস্ত অভিধান।
মানুষের ভাষা দিয়ে,
‘চোখের ভাষা পড়া’ হয়না আমার।
তাই সমীকরণ না মানার,
ধনুক ভাঙ্গা পণ করেছি এবার,
আকাশ-পথে হাঁটবো এবার একশ-হাজার বছর।
পৃথিবীর সব বিধিমালা পদপিষ্ট করে,
পৃথিবীর সমস্ত আদালত-ইমারত পুড়িয়ে,
পৃথিবীর সমস্ত সনদ টুকরো টুকরো করে,
পৃথিবীর আহ্নিকগতি বার্ষিকগতি উপেক্ষা করে,
মহাশূন্যের কৃষ্ণগহ্বরের অন্ধকার বিদির্ণ করে,
প্রতাপশালী সূর্য কে শ্বেতভামন বানিয়ে,
পাড়ি দেবো আমি অনন্ত নক্ষত্রের পথে,
হয়তো চলে যাবো আলোক বর্ষ দুরে,
মিশে যাবো মহাকাশের অসীম কল্লোলে।
তারপর…তারপর হয়তো কোন এক দিন….!
হঠাৎ ভরা পূর্ণিমার জোৎস্না-প্লাবিত রাতে,
এই পৃথিবীর কক্ষপথে ফের ফিরে আসবো,
দেখবো,
মানুষের পৃথিবীতে বাস করে লক্ষকোটি রোবট।
একদিন আমিও ছিলাম পৃথিবীর মানুষ,
এই পৃথিবীতে আজ মানুষ থাকেনা,
আমার পৃথিবীতে আজ রোবট-মানুষ।
অভিধান থেকে ‘ভালোবাসা’ হয়েছে নির্বাসিত,
রোবট-সংঘ নিষিদ্ধ করেছে প্রেম ও আদিমতা,
গোলাপ ফোঁটানো দিন বিদায় নিয়েছে সেই কবে,
পার্লামেন্ট নিষিদ্ধ করেছে….
ভালোবাসার প্রজনন, সামাজিক মিথস্ক্রিয়া
আর সমস্ত মানবিক বিকাশ।
রোবট আর প্রেম এক সাথে থাকেনা,
মানুষ ও রোবট একসাথে থাকেনা,
এই পৃথিবীতে আমি ও ছিলাম একদিন,
আজ বাইশ জোড়া ক্রোমোজোমের দিব্যি,
আকাশ ও জমিনের দিব্যি,
ফিরে আসবো না এই ভ্রষ্ট পৃথিবীতে।