1. newsiqbalcox@gmail.com : Somoy Bangla : Somoy Bangla
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৯ অপরাহ্ন

শাসক দলে প্রার্থীর ছড়াছড়ি আর ব্যক্তিদ্বন্দ্ব, সুবিধাজনক অবস্থানে বিএনপি

ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৩
  • ২০৩ ভিউ সময়

(মহেশখালী-কুতুবদিয়া) কক্সবাজার -২

এ.এম হোবাইব সজীবঃ

মহেশখালী ও কুতুবদিয়া নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের আসন কক্সবাজার-২। গত নির্বাচনে প্রধান দুই দলের মধ্যে
অন্তর্কোন্দল থাকলেও কেউই তেমন কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি।
নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সর্বোচ্চ কৌশল অবলম্ব করায় আসনটি হাতছাড়া হয়নি। প্রকাশ্য সভা-সমাবেশে গেলে বর্তমানে এ আসনে তলায় অর্ন্তদ্বন্দ্ব বিশৃঙ্খলা শাসক
দল আওয়ামীলীগ।
অপরদিকে বিএনপিতে গ্রুফি এর অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকলেও নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা পরিকল্পিত ভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে।

জানাগেছে,আসনটি এক সময় বিএনপির
ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত থাকলেও ২০১৪
সালের নির্বাচনে এ আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং ২০১৮ সালেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা ধরে রেখেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী আশেক উল্লাহ রফিক জয়লাভ করেন।
ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞকে সামনে ধরেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আসনটি ধরে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রধান পুঁজি
উন্নয়ন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ইমেজ ও বর্তমান সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি ও উন্নয়ন আওয়ামী লীগকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছে।
অন্যদিকে হারানো আসনটি ফিরে পেতে
মরিয়া বিএনপি।তবে বিএনপি-জামায়াত জোটবদ্ধ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে এ আসনে জামায়াত নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান
আযাদ প্রার্থী হতে পারেন।
কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া)
আসনে দলীয় মনোনয়নের জন্য ইতোমধ্যে
তৎপরতা শুরু করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

এক দশক আগেও লবণ, চিংড়ি ও মিষ্টি পান উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত ছিল মহেশখালী। পাশের কুতুবদিয়া দ্বীপের মানুষের জীবন-জীবিকাও লবণ ও মাছ চাষকেন্দ্রিক। কিন্তু এখন পাল্টেছে মহেশখালীর দৃশ্যপট। নির্মাণাধীন মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র, গভীর সমুদ্রবন্দর, সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্কসহ নানা উন্নয়নে বিশ্ব অর্থনীতিতেও নাম ছড়িয়েছে। কুতুবদিয়ায় দল ও ভোটের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ বরাবরই পিছিয়ে ছিল।

তবে এই উপজেলায় স্বাধীনতার এত দিন পর মানুষ বিদ্যুৎ-সংযোগ পেয়েছেন এই আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকের প্রচেষ্টায়। তাই কুতুবদিয়া এ সংসদ সদস্যদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে সরকারের শেষ মুহুঁতে এসে। এ কারণে এবার ভোটারদের টানতে পারবেন বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মহেশখালীতে সরকারের গৃহীত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন।
অন্যদিকে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি ভেতরে-ভেতরে হারানো আসন পুনরুদ্ধারে তৎপরতাই, আসনটি ক্ষমতাসীন দল কোনোমতেই হাত ছাড়া করতে চায় না। এই আসনটি সরকারের পেষ্টিস ইস্যুর আসন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আশেক উল্লাহ রফিক এমপি গোটা মহেশখালীতে
ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।প্রায় ৩০০ কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে।

অন্যদিকে সদ্য গঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগ কমিটি নিয়ে ব্যাপক বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে। তারেক বিন ওসমান শরীফ বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ তাকে এমপি হিসেবে
মনোনয়ন চাওয়ার জন্য বেশ সক্রিয়।তারেক বিন ওসমান শরীফও রাজনৈতিক
মাঠে বেশ সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
২০০৯ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে
পরাজিত হওয়া নৌকার প্রার্থী ড. আনসারুল করিম আবারও আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন। তার মেজ পুত্রবধূ সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর মেয়ে হওয়ায় শেখ পরিবারের নিকট আত্মীয় হন ড. আনসারুল করিম।তাই ড. আনসারুল করিমকে হতাশ করবে না বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের একাংশ।এছাড়া দেশের বড় দুই দলে রয়েছেন বেশ
কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগেই রয়েছেন
কয়েক হেভিওয়েট প্রার্থী।

বিএনপির দুইবারের সাবেক এমপি
আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
কক্সবাজার-২ আসনে আওয়ামী লীগের
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে যাদের নাম
শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- সাবেক ছাত্রনেতা ও দুইবারের নির্বাচিত বর্তমান সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, আন্তর্জাতিক পরিবেশ বিজ্ঞানী ও নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের
মহাজোট মনোনীত প্রার্থী প্রফেসর ড.
আনসারুল করিম, কক্সবাজার জেলা
আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও
কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক
অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা,
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের
সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম,
বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক ও বর্তমানে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রান ও সমাজ কল্যাণ, উপ-কমিটির প্রভাবশালীর সদস্য মহেশখালীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হকের অগ্মি কন্যা ক্লিন ইমেজের রাজনৈতিকবিদ প্রকৌশলি ইসমত আরা ইসমু।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি
ওসমান গণি,মহেশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক বিন ওসমান শরীফ, আওয়ামীলীগ নেতা শাপুলাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক চৌধুরী।

নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে বিএনপি থেকে
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে সম্ভাব্য যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাঁরা হলেন,
সাবেক মন্ত্রী বিএনপির স্থায়ি কমিটির সদস্য আলহাজ্ব সালাহ উদ্দিন আহমদ, বিএনপি‘র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি আলমগীর ফরিদ, সাবেক সাংসদ জেলা বিএনপি‘র, সিনিয়র সহ-সভাপতি এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী।
এ আসনে সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদ নির্বাচন করতে পারে এমন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে মাঠে-ঘাটে তবে সাবেক এমপি আলমগীর ফরিদই বেশ সরব রাজনৈতিক অঙ্গনে।
এখানে বলা বাহুল্য, জামায়াত থেকে দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদের নাম শোনা গেলেও মাঠে নেই কোনো
কর্মকান্ড।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ দাপটের সঙ্গে যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে, প্রতিপক্ষ বিএনপি তেমনটা পারছেনা। রাজনৈতিক মামলা আর ধরপাকড়ের ভয় তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাঁদের। তবু কৌশলে মিটিং প্রচার-প্রচারণায় আছে বিএনপি।সে কারণে আসনটিতে দলটির মনোনয়ন
প্রত্যাশীদের প্রচারে মুখর নির্বাচনী এলাকা। এখানে সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জানান দিতে বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ আশেক উল্লাহ রফিক প্রতিটি গ্রামে গ্রামে
অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এবং নিয়মিত প্রচার চালিয়ে আসছেন।

বসে নেই বর্তমানে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রান ও সমাজ কল্যাণ, উপ-কমিটির প্রভাবশালীর সদস্য প্রকৌশলী ইসমত আরা ইসমু, মহেশখালী-কুতুবদিয়ার ঐতিহ্য ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে তিনি নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ে । কাজ করতে চান তার এলাকার গণমানুষের ভাগ্যোন্নয়নে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণী পেশার মানুষের সমন্বয়ে এগিয়ে নিতে চান প্রিয় স্বদেশকে । তিনি গতবারের ও দলীয় প্রতীক চেয়েছিলেন তবে তৃর্ণমু্লে তিনি বেশজনপ্রিয়তা ধরে রেখে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে ভাল সম্পর্ক থাকায় তিনি মনোনয়ন পেতে হাইকমান্ড পর্যন্ত জোর লবিং চালাচ্ছেন বলে জানাগেছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ
সম্পাদক বিন ওসমান শরীফ। তিনি মহেশখালী উপজেলায় ছোট পরিসরে একটা বলয় সৃষ্টি করতে পারলেও
কুতুবদিয়া উপজেলায় একেবারে
নিষ্ক্রিয়।
জানা যায়, মহেশখালী উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা
২ লাখ ৪ হাজার ৯৪৩ জন। কুতুবদিয়া উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৮৫ হাজার ৫৭২ জন। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯০
হাজার ৫১৫ জন।
বর্তমান সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক
বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে
জনগণের জন্য কাজ করাই আমার
রাজনীতি। তিনিই মনোনয়ন দেবেন। আমরা সবাই জাতির জনকের কন্যা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর
গৃহীত সকল মেগাপ্রকল্প সঠিকভাবে
বাস্তবায়নে কাজ করেছি।আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। আর নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী বলে জানান।

শেয়ার করুন

আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন
© All rights reserved © 2021 somoybanglatv.com
Theme Customization By Monsur Alam