বিশেষ প্রতিবেদক :

সফল জনপ্রতিনিধি হওয়া একটা স্বপ্ন। কিন্তু স্বপ্নের পথে পা বাড়ালেই একের পর এক আসতে থাকে প্রতিবন্ধকতা। যে ব্যক্তি এসব প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে এগিয়ে যাবেন তিনিই হবেন সফল। আজ এমনই একজন সমাজ সেবকের কথা জানাচ্ছি- যিনি অনেক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে একজন সফল ব্যক্তি প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তিনি হলেন, কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলা সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি এবং সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ আকতার কামাল । তিনি সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। তারপরও মানুষের প্রত্যাশা থাকে। তিনি তার পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য, স্থানীয় সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সঠিক ও সুচারুভাবে বাস্তবায়নের জন্য, সর্বোপরি শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন রয়েছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য এবং কক্সবাজারের প্রতিটি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের জয়লাভের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আকতার কামাল কাজে সফলও হয়েছেন। সকলের সহযোগিতা পাচ্ছেন এবং সহযোগিতার আশাও ব্যক্ত করে চলেছেন। মেম্বার ও রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে সফলতা পাওয়ায় তিনি পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার সর্বত্র সম্মানিত হচ্ছেন। তারুণ্যের প্রতীক এ ব্যক্তি তার বয়স ও অভিজ্ঞতা দুটিকেই হার মানিয়েছেন। তার কর্মকাণ্ডে মনে হয় তিনি নবীন নয়। তার মধ্যে অনেক প্রবীণের প্রভাব বিস্তৃত । তার অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেক। এ সকল সফল মানুষের পেছনে আছে কিছু গল্প, তা অনেকটা রূপকথার মতো। আর সেসব গল্প থেকে মানুষ খুঁজে নেয় স্বপ্ন দেখার সম্বল, এগিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন প্রেরণা। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই উল্লেখযোগ্য উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। এলাকার হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে তাঁর নিরন্তর প্রয়াস সব মহলেই প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান, সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এলাকায় নিজের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তার সাথে দলের ভাবমূর্তির উন্নয়ন হয়েছে। অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠণের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক সমাজসেবী আকতার কামাল। তিনি মেম্বার নির্বাচিত না হওয়ার পূর্বেও সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করে প্রশংসা খুঁড়িয়েছেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি অত্যন্ত নম্র, ভদ্র, সদা-হাস্যোজ্জ্বল ও সাদা মনের মানুষ। তার মাঝে কোনো অহংকার নেই। নিরহংকারী এই মানুষটি দলমত নির্বিশেষে আজ সকলের কাছে প্রিয়। কাজ করছেন নৌকার জন্য। সর্বোপরি কাজ করছেন সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য। বয়সে তরুণ হলেও তিনি মনোবল হারাননি। এই সফল মানুষটি দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে প্রতিটি মানুষের বিপদ-আপদে ছুটে যান। এলাকায় তিনি একজন সাদা মনের উদার মানসিকতার ও দানশীল মানুষ হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছেন এলাকার সাধারণ মানুষের মতে, আমরা নেতা বা মেম্বার বুঝি না কামাল আমাদের আস্থার ঠিকানা ও একজন ভালো মানুষ। তিনি একজন কর্মঠ ব্যক্তি। তিনি মেম্বার পদে থাকলে আমাদের তথা এলাকার উপকার হবে। আমাদের দুঃখ-দুর্দশায় তাকে সহজেই পাশে পাওয়া যায়। ইতোমধ্যে তিনি সমাজের সকল মতাদর্শের মানুষের কাছে একজন দক্ষ, পরিশ্রমী ও মেধাবী সমাজ সেবক এবং উদীয়মান নেতা হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। নির্বাচনকালীন সময়ে সাধারণ জনগনকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অল্প সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করে একজন সফল ও জনপ্রিয় ইউপি মেম্বার হিসেবে সবশ্রেণির মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ড়ের জনপ্রিয় মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান আকতার কামাল। তিনি সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার প্রিয় ওয়ার্ড়কে নয় পুরো সেন্টমার্টিনকে উন্নয়নের আওতায় এনে ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। দৃশ্যপট পরিবর্তন করেছেন ১নং ওয়ার্ডের। এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থেকে তিনি সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সর্বোপরি গরীব মেহনতী মানুষের প্রকৃত জনদরদী হিসেবে তিনি এলাকায় ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেম্বার হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকার উন্নয়নে সৃজনশীল পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। গৃহিত পরিকল্পনার আলোকে তিনি একের পর এক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন সম্পন্ন করেছেন। এলাকা পরিদর্শনকালে সেন্টমার্টিন ১নং ওয়ার্ডবাসী ও সেন্টমার্টিনের সুশীল সমাজ প্রতিবেদককে জানান, সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের বর্তমান জনপ্রিয় প্যানেল চেয়ারম্যান -১ আকতার কামাল সেন্টমার্টিন আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবার ও চেয়ারম্যান পরিবারের সন্তান
। তার বাবা মাস্টার আবদুর রহমান জিনজিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ছিলেন । তার দাদা মরহুম মৌলভী আবদুল গণি ছিলেন প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। তার মেজু চাচা মাস্টার শামসুল ইসলাম সেন্টমার্টিন বিএন হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ও সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তার ছোট চাচা মুজিবুর রহমান সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। যার কারণে খুব সহজে তিনি সাধারণ মানুষের মনের কথা বুঝতে পারেন। যার ফলে এলাকাবাসী তাকে ১নং ওয়ার্ডে বিপুল ভোটে মেম্বার নির্বাচিত করেছেন। নির্বাচিত হয়ে তিনি এলাকার উন্নয়ন করে যাচ্ছেন একাধারে।
সামাজিক সচেতনতা এবং মানবিক সেবার অনন্য উদ্যোগ তাকে একজন মানবদরদী ও মহতী মানুষের উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছে। তিনি এলাকার দরিদ্র জনগোষ্টির উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। তিনি এ পর্যন্ত ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তার উন্নয়নসহ স্কুল, মাদ্রাসা, কবরস্থান, মসজিদ, ঈদগাঁমাঠ সংস্কার করে গরীব দুঃখী মানুষের মাঝে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা সঠিকভাবে বিতরণ করেছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করে গ্রাম্য সালিসের মাধ্যমে ইউনিয়নের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর নিয়মিত অফিস করেছেন এবং স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজ অতি দক্ষতার সাথে সফলভাবে করেছেন যা এখনো চলমান আছে। আগামী দিনে সেন্টমার্টিন ইউপি মেম্বার হিসেবে তিনি সততা ও কর্মদক্ষতার সাথে ইউনিয়নে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ১নং ওয়ার্ডবাসী নয় পুরো সেন্টমার্টিনকে আধুনিক মডেল হিসেবে গড়ে তুলবেন এমনটাই প্রত্যাশা ওয়ার্ড বাসীসহ সকলের। এই বিষয়ে আকতার কামাল বলেন, “আমি প্রবাল দ্বীপবাসীর স্বপ্ন পূরণে বদ্ধপরিকর এবং অবিরত কাজ করে যাচ্ছি। তাদের সুখ আমার সুখ তাদের দুঃখ আমার দুঃখ বলে বিবেচনা করি। আমি জনপ্রতিনিধি হয়ে নয়, সেবক হয়ে তাদের পাশে বেঁচে থাকতে চাই। তিনি আরো বলেন, বাপ-দাদার মতো তিনিও সারাজীবন অসহায় দ্বীপবাসীর পাশে থাকবেন বলে জানান।