বায়ুমন্ডল ভারী হয়ে যাবে সৃষ্টিসবের ভয়ংকর আর্তনাদে।
প্রত্যেক সৃষ্টি ছুটবে তার নিজের জন্যে।
ঐ মাহেন্দ্রক্ষণে শিউরে উঠবে তোমার প্রত্যেক লোমকূপ,
জমাট বেঁধে যাবে তোমার শিরায় শিরায় বহমান রক্তস্রোত।
শীতল হয়ে যাবে তোমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এমনকি তোমার হৃদপিন্ড।
সেই দূর্বিষহ দিনে তোমার হৃদয়ে উষ্ণ প্রেম ঢেলে আসবো আমি-ই!
তোমার জমাট বাঁধা রক্তকে হাঁটতে শেখাবো আমি-ই।
আমি জানি….
সেই ক্ষমতা এই ভূলোকে একমাত্র আমার-ই আছে৷
হ্যাঁ। কারণ আমি ভালোবাসতে শিখেছি!
কলিযুগের শেষ সময়ে যখন অকারণে সবার কান্নাকাটি-হল্লাহাটি….
সেদিন সবার ব্যাস্ততার মাঝে তোমার শীতল হাতে আলতো করে ছুঁয়ে যাবে আমার উষ্ণ আঙ্গুল…
দেখবে তুমি,
ধুয়াশা এক কোণে,হাজারো চিৎকারের প্রতিধ্বনি ভেদ করে
একদল শকুনের পেছনে হেঁটে যাচ্ছে
কালো শাড়ি পরা এক নারী…
হাতে কদমগুচ্ছ।
সেই নারী, যে তোমাকে মানবজাতির শেষদিনটিতেও ভালোবেসেছিলো।
কিন্তু… এখন যাবার বেলায়
সে আর পিছু ফেরবে না।
ধরা দেবে না তোমায়।
ভালোবাসতে ধরা দিতে হয় না।
Leave a Reply