সংবাদদাতা :
এমপিও বা নন-এমপিও নিন্ম মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্টান হতে বিনা মুল্যে বই বিতরণে টাকা আদায়, শিক্ষকদের এমপিও করণ ও গ্রেড পরিবর্তন, দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি, নতুন শিক্ষা কারিকুলাম প্রশিক্ষনে টাকার বিনিময়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক না দিয়ে নন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর পাঠদান নেই এমন শিক্ষকদেরকেও অবৈধ অর্থের বিনিময়ে প্রশিক্ষণে পাঠানো, বিভিন্ন অযুহাতে শিক্ষকদের নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়া সহ হাজারো অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও দাপটের সাথে বিগত ২৮ বছর ধরে একই অফিসে সরকারী চাকরী। সেই ক্ষমতাধর ব্যক্তি হচ্ছে কক্সাজার সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে কর্মরত টাইপিস্ট কাম ক্লার্ক অসীম কুমার বড়ুয়া।
সামান্য একজন ক্লার্ক হয়েও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস নিয়ন্ত্রণ করছে বাধাহীন ভাবে। একজন ক্লার্কের নিকট একপ্রকার জিম্মি হয়ে আছে কক্সবাজার সদর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা।মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সংক্রান্ত যে কোন কাজ করতে হলে তার হাতেই ধরা থাকে। সেই সুবাধে বিভিন্ন অযুহাতে সেবা গ্রহিতাদের কাছ থেকে আদায় করতো লাখ লাখ টাকা। এনিয়ে বিভিন্ন সময় শিক্ষক কর্মচারীরা মৌখিক ভাবে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেও পরিবর্তন হয়নি তার চরিত্র। একাধিক শিক্ষক বলেন, অসীম কুমার এক জায়গায় ২৮ বছর চাকরী করে এত অনিয়ম করার শক্তি কোথায় পায়? তার খুঠির জোর কোথায়? আমরা তার থেকে মুক্তি চাই।
এর পর গত সেপ্টেম্বর /২৪ ইং মাসে ১০ জন শিক্ষক এই অসীম কুমার বড়ুয়ার বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। তার আগে গত ১৪/০৭/২০২৪ ইং তারিখ মোহাম্মদ আমিন নামের একজন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন অসীম কুমার বড়ুয়ার বিরুদ্ধে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, এই অসীম কুমার বড়ুয়া অভিযোগকারী হতে এমপিওভুক্তি প্রক্রিয়া করণের কথা বলে নগদ ৩০০০০/- টাকা আদায় করে। যা তৎকালীন অফিসার মহোদয়কে কিছু জানায়নি বলে জানতে পারি। কিন্তু এই অসীম কুমার আজ কাল বলে বলে ২/৩ মাস অতিবাহিত করলেও সে এমপিওভুক্তি বিষয়ে কিছুই করেনি। অনন্যউপায় হয়ে আমি ভিন্ন ভাবে এমপিওভুক্তি করি। কিন্তু সে আমার টাকা ফেরৎ দেয়নি। তৎপরির্তে অভিযোগকারীকে চাকরীতে শান্তিতে থাকতে দিবেনা, চাকরী খেয়ে ফেলবে বলে হুমকি দিচ্ছে বিভিন্ন ভাবে।
এ বিষয়ে অসীম কুমার বড়ুয়ার বক্তব্য নিতে তার মুটোফোন নাম্বার ০১৮১৫৮৫৬৬৭৫ এ বার বার ফোন করেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
অভিযোগ বিষয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, অসীম কুমার বড়ুয়ার অনিয়ম বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি, তবে আমিন নামের একজন শিক্ষক একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে তা নিস্পত্তি করে দিয়েছি। আর দীর্ঘদিন একই জায়গায় চাকরী অনেক ক্ষেত্রে করা যায় বলেও জানান এই কর্মকর্তা।