আজ ডুলহাজারার ডাকাত দলের হাতে
আমারা হারিয়ে ফেলেছি-
লেফটেন্যান্ট তানজিম ছরুয়ার নির্জন ( বিএ- ১১৪৫৩) ভাই তোমাকে!..
যেই শোকের কোনো ভাষা নেই
নীরবে কাঁদতেছি শুধু সমব্যথী হতে।
তোমাকে হারানোর
এই শোক ছড়িয়ে গেছে,
আজ সারা বাংলায়।
আমি নির্লজ্জ ভাবে উচ্চারণ করি
এই হত্যাকান্ড ঘটেছে – ভাই
আমার চকরিয়া উপজেলায়।
যেই পুত্র হারানোর শোকে
আত্ন চিৎকার করে কাঁদছে,
টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার সকল গণ মানুষ জন।
বাচ্চা হারা পাখির মতোন
কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়েছে,
নির্জন ভাইয়ের পিতা- মাতা অমৃত হৃদয় ।
পুত্র শোকের
শোকার্ত এক জ্ঞানহীন পাখির মতোই করে।
তাঁদের হৃদয়ের দোয়েল যেন শোকার্ত
মনের শাপলা ও স্তম্ভিত এক বাতাস ব্যথিত
ভাষাহীন বিতৃষ্ণা কষ্টের,
গন্ধে ভরে আছে তাঁদের হৃদয়ে ক্ষণ।
বাংলার আজ লাল – সবুজের পতকার বাজে
লেফটেন্যান্ট তানজিম ছরুয়ার নির্জনের পরিবারের
স্বজন হারানোর গভীর বেদনার কান্দন বাজে।
প্রিয় নির্জন ভাই – কে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর
পরিধান করা পোশাকে যখন দেখি,
মনে হয় তখন বসে আছে যেন
কেদারায়
সীমাহীন শক্তিধর,
এক রয়েল বেঙ্গলটাইগার দেখতে পায়
যেন ভাই আমার আনত চোখে।
এমন এক মহা বীর কেও
তারা হত্যা করেছে
ছুরির আঘাতে ডুলহাজারার,
‘ওগো’ এক ডাকাতের দল।
যেই ঘটনার ইতিহাস শুনে
ডুলহাজারার – চিড়িয়াখানার,
মায়াবী হরিণের চোখ ও ভিজে গেছে যেন এই শোকে।
হরিণ পাখি বনের পশু হয়ে ও
বুঝতে পারে,
মানুষ হত্যার তিব্র যন্ত্রনা।
হে ডাকাত দল তোমরা
মানুষ হয়েও কেন,
বুঝনা মানুষ মারা
কতোই নিন্দনা।
ডাকাতের ঐ হিস্র তাবাতে আজ নির্জন ভাই
হারিয়ে ফেলেছি তোমাকে,
কিন্তু কথা দিলাম হারিয়ে যেতে দেবো না কখনো,
প্রিয় সৈনিক ভাই –
আমাদের চকরিয়ার ইতিহাসের পাতা
থেকে তোমাকে।