বার্তা পরিবেশক :
প্যারাবন কেটে চিংড়ী ঘের নির্মানের জোন খ্যাত মহেশখালী। জেলার এই পাহাড়ী দ্বীপ উপজেলার হোয়ানক, মাতারবাড়ী, শাপলাপুর ও ইসি এলাকা কুতুবজুম ইউনিয়নের সোনাদিয়া এলাকায় নির্মম ভাবে প্যারাবন কেটে উজাড় করছে গত সরকারী দলের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে। প্যারাবন ধ্বংশের ইতিহাস সৃষ্টিকারী সময় ছিল গত ২০২৩-২৪ সালে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে তুমুল ঝড় উঠলে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার অফিসের একটি দল মহেশখালী কুতুবজুম ঘটিভাঙ্গা সোনাদিয়া এলাকা ঘুরে এসে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার অফিসের পরিদর্শক কর্মকর্তা ফাইজুল কবির বাদী হয়ে ২৬ জন আসামীর নাম উল্লেক করে আরো ১০/১৫ জন অজ্ঞাত আসামী দেখিয়ে মহেশখালী থানায় গত ৮ জুলাই ২০২৪ ইং তারিখ পরিবেশ আইনে একটি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং ১১/১৩২। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উক্ত মামলায় একাধিক সাধারণ মানুষকে হয়রানীমুলক আসামী করা হয়েছে। কুতুবজুম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক এক মেম্বার বলেন, শুনেছি পরিবেশের মামলায় বেশীর ভাগই সঠিক আসামী হলেও একাধিক নিরপরাধ মানুষকেও আসামী করা হয়েছে। অথচ আরো বেশ কজন প্যারাবন খেকো ভুমিদস্যু আসামী হয়নি। কুতুবজুম ঘটিভাঙ্গা এলাকার রশিদ মিয়ার পুত্র সাজ্জাদ বলেন, আমি প্যারাবন কাটার বিষয়ে কিছুই জানিনা। অথচ আমাকে আসামি করা হয়েছে। আমি প্যারাবন তো দুরের কথা কোনদিন ঐদিকেও যাইনি। আমি মৎস্য ব্যবসা করে দীর্ঘদিন সুনামের সাথে সামাজিক কর্মকান্ড নিয়ে সাধারণ জনগনের সাথে আছি। যারা আমাকে মিথ্যা মামলার আসামী করতে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারকে ভুল তথ্য দিয়েছে। তারা হয়তো আমার সামাজিক সুনাম ক্ষুন্ন করতে ও হেয় করতে এমন কাজটি করেছেন। সঠিক তদন্ত করলে এর সত্যতা বেরিয়ে আসবে। এখনোতো মৎস্য ঘেরগুলো আছে, এখনো কারা তা করছে সরেজমিনে গেলে সঠিক তথ্য পাবেন। আমি এই মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষি ব্যক্তিদের শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে মামলার বাদী পরিদর্শক কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বদলী হয়ে ঢাকায় চলে এসেছি। এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে পারবোনা বলে জবাব দেন।
এ মামলা নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সচেতন মহল সঠিক তদন্ত করে নিরহ মানুষদের মিথ্যা মামলা থেকে দ্রুত অব্যহতি দিয়ে দোষীদের শাস্তি কামনা কডেন।