বদরখালী ডিগ্রি কলেজর ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক
জনাব, আফছারুজ্জামান স্যার,
বরইতলী ইউনিয়ন থেকে এসে
তুমি শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে ছিলে
অত্র অঞ্চলের তরুণ ছাত্র – ছাত্রীর অন্তরে।
শিখিয়ে ছিলে তুমি সত্যেরই পথে
হাঁটতে আমাদের চিরদিন – চীরকাল,
জীবনের সকল বাঁধা সরিয়ে দূর করে
কীভাবে আনতে হয় সকাল।
মন – প্রাণ উজাড় করে তুমি দিয়েছো ঢেলে
আমাদেরই মাঝে জ্ঞানের আলো,
মায়া – প্রীতির বন্ধনে নিয়ে ছিলে বেঁধে
শাসন – স্নেহে বেসেছো কত না ভালো।
সীমার মাঝে অসীম তুমি
বাজাইয়ে ছিলে তোমার আপন সুর,
আমাদের মধ্যে থেকে আজ তোমার প্রস্থান,
তাই তো, আমারা বদরখালী ডিগ্রি কলেজ পরিবার
এত বেদনা বিধুর।
মন চায় না দিতে বিদায়
কিন্তু আমরা সত্যিই,
বড় নিরুপায়।
সময় চলে যাচ্ছে সময়ের মতো করে
মনে করে দেখো হে গুণি
কত স্মৃতি আছে তোমার,
স্মৃতির ডোরে।
উত্তাল তরঙ্গে তুমি
চীর বহমান তরী,
আজ মহা কঠিন
কণ্টকাকীর্ণ পথ তুমি দিচ্ছ পাড়ি।
হে জ্ঞানের কান্ডারী
তুমি আলোর দিশারী।
তোমার জ্ঞানের ঐ শিকা দিয়ে
কত রাজ্য, কত রাজা,
তুমি গড়িয়াছো নীরবে
হে পুজ্য, হে প্রিয়!.
একত্বে বরেণ্য তুমি,
স্মরণ্য মোর এককে।
হে আলোর দিশারী, এক দিন তুমি এসে ছিলে
বদরখালী ডিগ্রি কলেজের
কোমল মতি ছাত্র – ছাত্রীদের অন্তরে,
শিক্ষার প্রদীপ শিখা জ্বালানোর
এক মহান দায়িত্ব নিয়ে
যে পথ তুমি করে ছিলে শুরু,
আজ, অবসর গ্রহণের মধ্যে দিয়ে,
সে পথের সর্ব শেষ – প্রান্তে উপনীত হয়েছো
হে শিক্ষাগুরু।
এ বিদায় ভেবোনা কবু
তুমি চির – বিদায় বলে,
থাকবে তুমি প্রিয় অধ্যাপক
ছাত্র – ছাত্রীদের নিভৃত হিয়ার অন্তরালে।
কলেজের কতো দুঃসময় দেখেছি
তোমার জীবনে
হাসি মুখে সব কিছুই
তুমি নিয়ে ছিলে মেনে,
সারা জীবনের বেদনা।
তাই, বলি আজ আফছারুজ্জামান স্যার
তুমি বিদায়ের দিনে কেঁদো না –
তুমি! বিদায়ের দিনে কেঁদো না।