বাবা তুমি আমায় ছেড়ে
কোথায় চলে গেলে,
ফাঁকি দিয়ে চলে গেলে
কিছুই নাহি বলে।
আমায় ছেড়ে নিঠুর বাবা
কেমন করে থাকো,
আমার কথা একটুও কি
তোমার মনে পড়ে নাকো?
চলে গেছ বাবা তুমি
পর-পরের দেশে,
কীসের মায়ায় থাকছো বাবা
তুমি ঐ দেশটাতে।
আব্বা বলে ডাকে কী কেহ?
তোমায় আমি ডাকতাম যেমন!.
ঈদের দিনে তোমার সাথে
যেথাম যখন ঈদে,
কতই কিছু কিনে দিতে
তুমি আমার খুশি – তে।
হাঁটে যাবার সময় যখন
হতো তোমার বাবা,
সবার আগের জিজ্ঞাসিতে
কি জিনিস লাগবে বলো
আমার ছোট্ট ‘ মা- র’।
কত রকম বায়না ধরতাম
আমি তোমার লাগি।
সব কিছুই পূরন করতে তুমি
আমার সুখের লাগি।
স্কুল থেকে আসতে যদি
একটু হতো দেরি,
কত ছোটা – ছুটি করতে তুমি
আনতে আমায় বাড়ি।
মায়ের সাথে যখন যেতাম
নানা- নানির বাড়ি,
অমনি এসে বলতে তুমি
আমার ‘ ছোট্ট মা ‘ কে ছাড়া,
কখনো কী আমি থাকতে পারি?।
একটু যদি অসুখ হতো
সর্দি কিংবা কাশি।
সারা রাত্রি কাটিয়ে দিতে
তুমি আমার পাশে বসি।
তজবি গুণে কত দোয়া
করতে আমার লাগি,
আল্লাহ তুমি ভালো করো
আমার মেয়ে – রে তাড়াতাড়ি।
এখন বাবা কত অসুখ
হইছে আমার গায়ে,
জিজ্ঞেস কেউ করে না যে
কী অসুখ হয়েছে – রে তুর গায়ে?.
তোমার কত স্মৃতি আমার
আজ মনে পড়ে যায়,
যদি তোমায় আরেক বার, ফিরে আমি পাই।
হারিয়ে যেতে দেব নারে
আর কোন গাঁয়।
সত্যিই যদি আসতে তুমি
আবার এই ধরায়,
হাজার সুখে থাকতাম বাবা
আমি এই দুনিয়ায় ।