অ, আ, স্বরবর্ণ যিনি তোমায়
নিজ হাতে ধরিয়ে দিয়ে,
শিখিয়ে দিল বাক্য।
তাঁকে কেন, করতে পার পদত্যাগের বাদ্য?
হয়তো আমার মেধাবী -ভাইয়েরা-
বলতে পারেন আমায়,
শিক্ষা মোদের মনের শক্তি
কলম মোদের হাতিয়ার।
এই কলম দিয়েই,
যেটা- সেটা করতে পারি
করি না -গো কোন ইকতিয়ার।
কিন্তু, তোমরা হয়তো ভুলে জাচ্ছো
হে মেধাবী ভাই!.
তোমাদের ঐ শিক্ষার আলো
লাঞ্ছিত ঐ সকল শিক্ষকদেরই হাতের দ্বারা তৈয়ার।
যেই শিক্ষার আলো পেয়ে
তোমরা হয়েছ
বড় ভাগ্যবান।
অনিয়মের বাঁধার নামে
নিচ্ছ তাঁদেরই আজ তাঁজা প্রাণ।
“শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড,
গুণি জনে কয় “।
তবে, শিক্ষিত করে
লাভ কী বল,
জাতি যদি
সুশিক্ষায় শিক্ষিত না হয়?
নিচ্ছই, তারাই বুঝি শুরু করবে
অতিমাত্রায়,
শিক্ষাগুরুর মেরুদন্ড ক্ষয়।
বর্তমানে দেখা জাচ্ছে
বিশ্ব – রেকর্ডে
বাংলাদেশের হাজার, হাজার শিক্ষক
তাঁদের নিজ শিক্ষার্থীদের হাতেই
লাঞ্ছিত হচ্ছে -রে।
মনে, করে দেখ না গো – হে মেধাবী ভাই!
শিক্ষক বিনা, কখনো কী?
কোন মানুষ বিদ্ধান হয়েছে-রে।
ছাত্র -ছাত্রীর সুন্দর জীবন
গড়ে ওঠার তরে,
শিক্ষকদেরই অবদান সবার উপরে ।
শিক্ষক মানে মনে মধ্যে
শিক্ষা আছে যার,
তাই সকল শিক্ষার্থীদের মানতে হবে
তাঁদের ব্যবহার।
শিক্ষক মানে, জীবন গড়ার
প্রধান আদর্শ।
শিক্ষক মানে জাতি গড়ার
এক শক্ত মেরুদন্ড ।
‘ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা
সব শিশুরই অন্তরে ‘
এই মহা বাণীর সঠিক –
যথার্থতা ভাব আমাদের গভীর ভাবে,
বুঝতে হবে -রে।
শিক্ষক তোমার ভালো -মন্দ
যায় হউক না ভাই,
পিতা-মাতার পরে –
দ্বিতীয় -তে, তাঁদের দাও না ঠাঁই।
তাই, জোড় হাতে
বলি আমি হে মেধাবী ভাই!.
তোমাদেরই হাতে যেন,
তাঁরা সম্মান পায়।
নিজ শিক্ষাগুরুর পায়ে প্রণাম জানাও
শ্রদ্ধায় ঝোঁকে মাথা।
তবেই, বুঝি পেতে পারো তোমরা
সু-শিক্ষার সাফল্যের সিঁড়ির পাতা।
আজ সুরে-সুরে বলি সবাই
এক আত্মা হয়ে,
সদা, সর্বদা ‘চির উন্নত হউক ঐ
শিক্ষাগুরুর শির ‘।