নিজস্ব প্রতিবেদক :
মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আহসান উল্লাহ বাচ্চুকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।এসময় বাচ্চুর হেফাজত থেকে দেশীয় তৈরি অস্ত্র ও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নের মুহুরিঘোনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বাচ্চুকে গ্রেফতারের কথা ছড়িয়ে পড়লে তার সমর্থিত স্থানীয় লোকজন নৌবাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে দেখা যায়। এসময় অভিযানে থাকা সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয় বলে জানা যায়।
আহসান উল্লাহ বাচ্চু গত ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
অভিযোগ রয়েছে আহসান উল্লাহ বাচ্চু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর তার নিয়ন্ত্রণে একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে। তারা উপকূলের বিভিন্ন চিংড়ি ঘের ও মাছের প্রজেক্ট দখল করে আধিপত্য বিস্তার করতো। এছাড়া ধলঘাটা উপকূলের একমাত্র সাইক্লোন শেল্টার দখল করে রাখার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
উল্লখ্য যে, তার বিরুদ্ধে – খুন, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও দখলবাজি থেকে শুরু করে একাধিক মামলা রয়েছে।নুরানী মাদ্রাসা কাম সাইক্লোন সেল্টার দখল করে পারিবারিক ঘর বানিয়ে আহসান উল্লাহ বাচ্চু এই সাইক্লোন সেন্টারে তৈরি করেছেন টর্চারসেল। বাহির থেকে নিরীহ লোকজন ধরে নিয়ে সেখানে অত্যাচার, নির্যাতন করে টাকা ও সম্পত্তি দখলে নিতেন বাচ্চু। তার রয়েছে একটি বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনীও। এরা দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও নানা অপকর্ম করে এই সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নিয়ে থাকেন৷ সেখানে রাতভর চলে জুয়া ও মাদকের আসর। এছাড়া অবৈধ অস্ত্র মজুদের নিরাপদ স্থান হিসেবে ব্যবহার করেন এই সাইক্লোন সেন্টার৷
বাচ্চু চেয়ারম্যান আটকের বিষয়ে এখন পর্যন্ত আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন- নৌবাহিনী বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আটকের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে মহেশখালী থানায় আনা হয়নি। যদি কাউকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয় পরে তা বিস্তারিত জানানো হবে এবং আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।