নিজস্ব প্রতিবেদক:
মোবাইল ফোনে প্রকাশ্যে ঘুষ দাবীর অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিষ্ট আব্দুস ছালামের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বুধবার ১৩ মার্চ ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ও মহাপরিচালক সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী সুফিয়া আক্তার শেফালী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার ১২ মার্চ দুপুর ১টার দিকে শহরের দক্ষিণ ঘোনার পাড়া (বাদশা ঘোনা) এলাকায় সুফিয়া আক্তার শেফালীর বাসায় যান কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট আব্দুস ছালাম। বাড়িতে শেফালীকে না পেয়ে তার ছেলের মোবাইল থেকে ফোন দেন আব্দুস ছালাম। ফোনে বিভিন্ন ধরণের হুমকিমূলক কথাবার্তা বলে তার বিরুদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে সাংবাদিককে খরচ দিতে হবে বলে জানিয়ে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরে তার অফিসে গিয়ে দেখা করতে বলেন। অন্যথায় বিভিন্ন মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন এবং অনেককে মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছেন বলে হুমকি দেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
ভূক্তভোগী সুফিয়া আকতার শেফালী কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ ঘোনার পাড়া (বাদশা ঘোনা) এলাকার বাসিন্দা।
তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আমি কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে কর্মরত থাকাকালীন আমার ছেলের নাম্বার থেকে ফোন আসে। ফোন রিসিভ করতেই কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট আব্দুস ছালাম আমাকে পাহাড় কাটার মিথ্যা অভিযোগে হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করতে থাকেন। এবং বলেন আপনার বিরুদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এগুলো বন্ধ করার জন্য দুজন সাংবাদিককে খরচ দিতে হবে জানিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন তিনি। খরচ না দিলে মামলায় জড়ানোর হুমকিও দেন তিনি।
সুফিয়া আকতার শেফালী আরো বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত ঘর-ভিটা কিনে ভোগদখলক্রমে বসবাস করে আসতেছি। আমি কোন ধরনের পাহাড় কর্তনের সাথে জড়িত নেই এবং পরিবেশ বিরোধী কোন কর্মকান্ডেও লিপ্ত নই। আমার বাড়ির পার্শ্ববর্তী কে বা কারা পাহাড়ের মাটি কেটে আমার বাড়ির সামনে দিয়ে নিয়া যাচ্ছে। এতে আমার কোন ধরণের যোগসূত্র নেই। কোন কিছু না জেনে দুই সাংবাদিকের কথা শুনে আমার বাড়িতে এসে পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট আব্দুস ছালাম ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করতেছে। আমি ওই কর্মকর্তার হুমকি-ধমকির বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছি।
অভিযোগের বিষয়ে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট আব্দুস সালাম বলেন, ডিডি মহোদয়ের তথ্য নিয়ে আমি ঘোনার পাড়া সরেজমিনে পাহাড়কাটা দেখতে যাই। সেখানে ঐমেয়েটির পাশে পাহাড় কাটতে দেখে তার কাছে কে কাটছে জানতে চাইলে সে জানেনা বলে জানান। তাই তাকে বলেছি, আপনার পাশে পাহাড় কাটে অথচ আপনি না জানলে তাহলে আপনি কেটেছেন বলেছি মাত্র। সাংবাদিকদের জন্য টাকা চাওয়া বিষয়ে একজন সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করে বলেন, তারা সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ থেকে পাহাড়কাটার তথ্যগুলো পান বলে জানান। এর বেশী নয়।
কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক নুরুল আমিনকে তার সেল ফোনে বেশ ক’বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাহার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।