হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আগামীকাল মঙ্গলবার প্রতীমা বিসর্জন উপলক্ষে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জানাব জিল্লুর রহমান।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর থেকে ষষ্ঠী থেকে শুরু হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। যাহা আগামী ২৪ অক্টোবর দশমী অর্থাৎ প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ই শেষ হবে।
কক্সবাজার জেলা বিভিন্ন যায়গা হতে ১৯১ টি (একশত একানব্বই) টি প্রতীমা সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে বিসর্জন দেওয়া হবে। যেটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিসর্জন স্থল বলে পরিচিত। বিসর্জন স্থলে সনাতন ধর্মের ধর্মাবলম্বীয় লোকজন সহ সাধারণ পর্যটকে মিলিয়ে প্রায় চার থেকে পাঁচ লক্ষ লোকের সমাগম উপস্থিতি ঘটবে। প্রতিবারের ন্যায় টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারে প্রতীমা বিসর্জন অনুষ্ঠানকে সুন্দর ও নিরাপদ করার জন্য কয়েকটি স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছে।
পূজা বিসর্জন অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণ আনন্দমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও একাধিক গোয়েন্দা টিম এবং সেই সাথে সিসি ক্যামেরা ও ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে বিসর্জনে স্থল ও আশপাশের এলাকা সার্বক্ষণিক নজরদারি ও নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন ইতিমধ্যেই সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ জিল্লুর রহমান মহোদয় শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে বিসর্জন অনুষ্ঠানের শেষ করার লক্ষ্যে পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দের সহিত মতবিনিময় সভা করেছেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন।
একই সাথে পূজা বিসর্জন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে টুরিস্ট পুলিশ, কক্সবাজারের গৃহীত সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে সুস্পষ্ট নিরাপত্তামূলক ডিউটির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সাথে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন এর পক্ষ হতে সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজার সমস্যার বার্তা দেন।