রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের দাবিতে উত্তাল কক্সবাজারের হাজারও মানুষ। এবার রোহিঙ্গাদের দ্রুত নিজ দেশে প্রত্যাবাসনসহ কয়েক দফা দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছে স্থানীয় জনসাধারণ।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১ টার দিকে কক্সবাজার শহীদ দৌলত ময়দানের সামনে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, ২০১৭ সাল থেকে মায়ানমারের জান্তা সরকারের নিপীড়ন নির্যাতন ও গণহত্যার কবল থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গাদের মানবিক দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকার কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় দেন। কিন্তু এই দেশে রোহিঙ্গাদের পা ফেলার পর থেকে কক্সবাজার জেলাজুড়ে বেড়েছে খুন, গুম, ছিনতাই হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধ। সেখানে রোহিঙ্গাদের অবস্থান সবচেয়ে বেশি। এছাড়া শ্রম বাজারও রোহিঙ্গাদের দখলে হয়ে গেছে। ফলে এখানকার শ্রমিক ও খেটে-খাওয়া মানুষরা কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে।
কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা ইশতিয়াক আহমেদ জয়ের সভাপতিত্বে ও কক্সিয়ান এক্সপ্রেস এর সভাপতি ইরফান উল হাসানের সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল ইসলাম, ডেইলি স্টারের সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ আলী জিন্নাত, কক্সবাজার জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এইচ.এম এরশাদ, কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব সাংবাদিক এইচ.এম নজরুল ইসলাম, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।
তারা বলেন, রোহিঙ্গা কক্সবাজারবাসীর জন্য এখন বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাদের থেকে মুক্তি পেতে তারা রাস্তায় নেমেছে। অতিবিলম্বে তাদের দ্রত প্রত্যাবাসন শুরু করলে জনগণ নানা দুর্গতি থেকে মুক্তি পাবে বলে মনে করেন। পৌর মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী জানান কক্সবাজারের প্রতিটা অঞ্চলে রোহিঙ্গারা ঢুকে গেছে। প্রতি ওয়ার্ডে অনেক মানুষের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে তারা বসবাস করছে। তাই কক্সবাজারের পরিবেশ এখন অশান্ত হয়ে পড়েছে। পৌর পরিষদে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে শান্তি সমাবেশ করা হবে। যেখানে পুরোনো ও নতুন রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে এনআইডি বাতিল করে কক্সবাজার থেকে বাতিল করা হবে। এছাড়া কোনো রোহিঙ্গাদের যদি কেউ আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় তাহলে তাদের হোল্ডিং টেক্সের আওতায় রাখা হবে না এবং সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুন্না চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী নাজমুল হক, কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন কবির মিজানুর রহমান, রাজবিহারী দাশ, আমিনুল ইসলাম মুকুল, পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) নেতা উছেন থোনসহ আরও অনেকে।