হাটহাজারীতে আবারও তারিন আকতার (২৪) নামে এক গৃহবধূর রহস্য জনক মৃত্যু লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৫ জুলাই) দুপুরে তারিনের শ্বশুর বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ । শ্বশুরবাড়ির লোকজন একে আত্মহত্যা বললেও নিহতের পরিবারের অভিযোগ নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে তারিনকে। নিহত তারিন ফটিকছড়ির নাজিরহাট পৌরসভার ডেবার পার এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে পুলিশ। লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০১৯ সালে তারিনের সাথে ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নুর আলী মিয়ারহাট এলাকার মো. রুবেলের বিয়ে হয়। তাদের আয়না নামে তিন বছরের একটি কন্যা আছে।
শ্বশুরবাড়ির দাবি, সকাল ১০টার দিকে নিজ রুমের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তারিন। তবে পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। নিহতের মামা জানান, তিনি তারিনের মেয়েকে ছাদে নিয়ে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তার আব্বু তার আম্মুকে চড় মেরেছিল বলে জানায় সে।
নিহতের ভাই শাহেদ আলম তালুকদার বলেন, বিয়ের পর থেকেই তারিনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সন্তানের দিকে তাকিয়ে আমার বোন সবকিছু সহ্য করতো। কোন প্রতিবাদ করতো না। সব সময় বলতো এক সময় সব ঠিক হয়ে যাবে। সে তারিনের পক্ষে আত্মহত্যা করা কখনোই সম্ভব না। আমার আদরের বোনটাকে শেষ পর্যন্ত মেরে ফেলল তারা। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
নিহতের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সকাল ৯-১০টার দিকে ঘটনাটা ঘটেছে। আমরা প্রতিবেশির ফোন পেয়েছি ১২টার সময়। আসার পর আমাদেরকে ঐ রুমে যেতে দেয়নি পুলিশ ও স্থানীয় চেয়ারম্যান। আমরা আসার আগেই তারা সমস্ত আলামত সরিয়ে ফেলে।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে সুরত হাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।