কখনো কখনো মন কি তোমার কেমন কেমন করে…
যেমনটি তোমায় ভেবে আমার ব্যাকুল হৃদয়ে
শ্রাবণের ঢেউ দোলে…..
হয় কি কখনো উদাস ক্লান্ত দেহ মনে…
পড়ন্ত দুপুর গলে নিলিমায় মিশে যখন
হৃদয়ের ক্ষত বেয়ে গড়িয়ে পড়ে লাল…,
রাতের বুক চিরে যখন দূরে চলে যায় ট্রেন
বাজিয়ে বিবাগী হুইসেল…..
যখন ঘুমের গহীন ভিতরে দুঃখ আমাকে
নাম ধরে ডাকে….. আমার উঠানে যখন
ধুলোয় জোৎস্নামরাল নিথর ঘুমায় আর
ঝরাপাতা কাঁপে মাঝে মাঝে ছায়ার নকশা…
তখন মনে পড়ে আমাকে….?
যখন মধ্যরাতে গহন নিদ্রার জাল ছিঁড়ে যায়
আর মগজের রাঙা উদ্যানে……
জ্বল জ্বলে পূর্ণিমা চাঁদ খিলখিলিয়ে হাসে
আমার ভাবনা সকল বেলা অবেলায়..
গীতবিতানের পাতায় নেচে ওঠে তোমার মুখ
মনে কি পড়ে তখন প্রিয় আমার এ মুখ.?
কতকাল আমি সূর্যদ্বয় দেখিনি….
শুনিনি কোন দোয়েলের শিস….!
আমার সত্তায় আমি আটপৌরে ছা পোষা এক মানুষ…
নিজস্ব বিবর ছেড়ে যাইনা কোথাও দূরে স্বপ্ন সঞ্চারনে,
অতিশয় এঁকে বেঁকে পাহাড়ী পথ বেয়ে
মাদলের বাজনা শুনে….
আকাশের ভুল সীমানায় ওড়া সেই অচেনা হংসদল
খুঁজে খুঁজে কাটে সারাবেলা……
আকস্মিক দুহাত বাড়াই তোমার একান্ত দিকে
কখনো কখনো পদ্য লিখি তোমারই উদ্দেশ্যে।
বিবাগী মন আমার ডানা ঝাপটায় অকূল শূন্যতায়
কতকাল আহত লোকচক্ষু আর বিবেকের আড়ালে
নিখুঁত অভিনয়ের মানুষ গুলো দেখে….….!
এখনো কোথাও তো কেউ আমার উদ্দেশ্যে
রাখেনি জ্বালিয়ে কল্যাণের ঝাড়বাতি…!!
কখনো যদি আমাকে ছেড়ে চলে যাও দূর দেশে…..
আমার সকল প্রত্যাশা কে মরিচিকা করে…..
আমি বন্ধ ঘরে মরে পড়ে থাকবো একাকী
কিংবা উন্মত্ততা আমাকে দখল করে ফেলবে নিমেষে
আত্মহননের আফিমে…..!
আজ ব্যর্থতার ভস্মরাশি আমাকে ফেলেছে ঢেকে
আবার কখনো আমি ভস্ম ছেড়ে অবিনশ্বর পাখির মতো সূর্যদ্বয় আর পদ্মপ্রসূত আভার সম্মিলনে
গীতিময় হবো কিনা স্পষ্টতই আমি জানি না।
যখন আমাকে কেউ প্রশ্ন করে আমি নিরুত্তর
আমার ভেতর খুঁজি তোমার ছবি..!
আমি আজ অতীত চিবোই শুধু যে অতীত
আমরা দুজন অন্তরঙ্গ করেছি রচনা…..!!!!