সোহেল রানা, রাজশাহী ব্যুরোঃ
আসন্ন ২১ জুন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, রাজশাহীর উন্নয়নে আরো কিছু কাজ বাকি আছে। আগামী ৫ বছরে ৫০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই। আমার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে আরেকবার সুযোগ চাই।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রাজশাহী কলেজ অডিটোরিয়ামে আনসার ভিডিপি, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটস, রেঞ্জার গাইড, রেড ক্রিসেন্ট ও গালর্স গাইড এর সাথে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে। রাজশাহীর উন্নয়নে ২০১৯ সালে প্রায় ২৭০০ কোটি টাকার রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী। সেই প্রকল্পের ১২০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
আরো ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এর সাথে আগামীতে আরো তিন থেকে চার হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আনতে চাই। তাহলে প্রায় সাড়ে চার থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নে রাজশাহী আরো বদলে যাবে। এছাড়া নগরীর আয়তন বৃদ্ধি করে বর্ধিত এলাকায় উন্নয়ন ও নাগরিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে চাই।
রাসিক মেয়র বলেন, কৃষি খাতের উন্নয়ন ও গবেষণার জন্য রাজশাহীতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে চাই। রাজশাহীতে একটি গালর্স ক্যাডেট করতে চাই।
শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের ব্যাপারে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, পদ্মা নদীর নব্যতা ফিরিয়ে এনে ভারতের মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান থেকে রাজশাহী পর্যন্ত এবং পরবর্তীতে ঢাকা পর্যন্ত নৌরুট চালু করে বিভিন্ন মালামাল আমদানি-রপ্তানির মাধ্যমের রাজশাহীর অর্থনীতি গতিশীল ও ব্যবসা বাণিজ্য বাড়াতো চাই।
রাজশাহী থেকে কলকাতা সরকারি ট্রেন ও বাস যোগাযোগ চালু করতে চাই। বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণে টেন্ডার হয়েছে, সেটি বাস্তবায়ন হবে। এখন শিল্পায়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। শিল্পায়ন করতে ইতোমধ্যে রাজশাহী বিসিক শিল্পনগরী-২ এর কাজ শেষ হয়েছে। এখন প্লট বরাদ্দ প্রদান করা হবে। সেখানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কলকারখানা হবে। সব মিলিয়ে আগামী ৫ বছরে ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই।
রাসিক মেয়র আরো বলেন, করোনাকালীন পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও রাজশাহীবাসীর সহযোগিতায় সিটি কর্পোরেশনের অর্থ থেকে দফায় দফায় খাদ্য, নগদ অর্থ, বিনামূল্যে ওষুধ, অক্সিজেনা মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌছে দিয়েছি। করোনার দুঃসময়ে যখন লাশ ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল, তখন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেছি। করোনাকালীন সময়ে রেড ক্রিসেট সোসাইটি যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে, তা আমাদের স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
সভায় বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, আনসার ভিডিপি, রাজশাহীর বিভাগীয় প্রধান কামরুন্নাহার, বিএনসিসির মহাস্থান রেজিমেন্টের রেজিমেন্টের কমান্ডার লে. কর্ণেল সাজিদ ইমরান, রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল খালেক। আনসার ভিডিপি, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটস, রেঞ্জার গাইড, রেড ক্রিসেন্ট ও গালর্স গাইড এর শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সভামঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন বাংলাদেশ গালর্স গাইড এসোসিয়েশন, রাজশাহীর আঞ্চলিক কমিশনার সিরাজুম মুনিরা, বাংলাদেশ স্কাউটস রাজশাহী জেলা রোভারের কমিশনার প্রফেসর ড. মো.ইলিয়াছ উদ্দিন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য প্রফেসর চৌধুরী সারওয়ার জাহান সজল, রাজশাহী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মুহা.হবিবুর রহমান, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর তানবিরুল আলম, রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জুবাইদা আয়েশা সিদ্দিকা, রাজশাহী নিউ.গভ. ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কালাচাঁন শীল, রাজশাহী সিটি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আমেনা আবেদিন, বুয়েট অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মাহাতাব উদ্দিন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রাজশাহী সিটি ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজু।