করুণ নি:শ্বাস যেন, তপ্ত আকাশে,
আবর্জনায় পথ মাঠ-ঘাট ফ্যাকাশে।
ধূলো মাখা আঙিনায়, প্রাণ যেন নাশে,
তবু মানবের স্বপ্ন যেন, ঘুরে চারিপাশে।
বছরের তন্দ্রাচ্ছন্ন মন,ধূয়ে যাবে নব বরষে,
কাটবে ঘোর,খুলবে দোর, বৈশাখী পরশে।
মনের তারাগুলো পড়ছে খসে,মরু আকাশে,
দিক দিগন্তে, নব প্রান্তে, প্রাণ আজি প্রকাশে।
হেঁকে হেঁকে, ডেকে যায়,গরজে মেঘ শত ত্রাসে,
চাওয়া পাওয়ার হিসেব যেন, যাচ্ছে রঙ্গে মিশে।
সকল সুরে সুর যেন বাজে, ঠান্ডা হাওয়ার পরশে,
বিরহী পাখি, জুড়ায় আঁখি,নীড়ে ফিরে যে আসে।
কালো জল, করে শুধু ছলছল, নিত্য নব আশে,
অবশ চিত্ত,করে যায় নৃত্য,ঝিমায় যেন অলসে।
লতাগুলো জড়িয়ে আছে,মিশবে ধূলোয় শেষে,
ফিরে ফিরে যাচ্ছে দক্ষিণ হাওয়া,নতুন আবেশে।
মূমূর্ষু চেতনা,ছড়ায় বেদনা,হাওয়ায় যাচ্ছে ভেসে,
নীরব রাতের মরুতে,তপ্ত বেদনাতে,যাচ্ছে হেসে।
এসো বৈশাখ,এসো অভিমানে, এসো ছদ্মবেশে,
এসে জুড়াও প্রাণ,এসো না হয়ে জগতে সর্বনেশে।
পথিক বন্ধু, পাপড়ি ছাওয়া পথে,গায় যে উদাসে,
দহন দানে,ছুঁয়ে যাও প্রাণে, এসো নব স্বপনবেশে।
ছুটুকহাওয়া,মেঘে মেঘে ছাওয়া,এসো রাঙাবেশে,
সবুজ-নীলের ছায়ে,এসো পায়ে পায়ে,পথশেষে।
এসো নী:সীম শূন্যে,হেসে যাও পূর্ণে,যামিনীশেষে,
এসো স্বপনভাঙ্গা রাতে, চলব সাথে, নব উল্লাসে।
এসো কলহাস্যে প্রকাশ্যে, অন্ধকারের বাহুপাশে,
হৃদয় গগণে,সুর যেন মগনে,বিকাশো সুধাপরশে।
মেঘের ভেলায়,লুকোচুরি খেলা যে দেশে-বিদেশে,
চরণধ্বনি বাজে, নতুন সাজে,তোমারেই প্রকাশে।
কেটে যাক দ্বন্দ্ব,বয়ে যাক আনন্দ, গভীর পরশে,
নিশি শেষে রাঙা বেশে, এসো গভীর ভালোবেসে।
ছলোছলো,করে টলোমলো, এসো ফাগুনশেষে,
বিষাদের শিশিরে,এসো দ্বারে দ্বারে,এলোকেশে।
হাসির নাচন জাগাও, পাতায় পাতায় ঘাসে ঘাসে,
ধেয়ে আসো তুমি, নয়ন চুমি, গভীর দীর্ঘশ্বাসে।
১৩/০৪/২০১৮
13 Apr 2018 9:44:07 pm