বাতাসের বাঁশিতে যদি
রানা প্লাজা পড়ে ধসে,
করছে কি রাজউক
রাজকীয় বেতনে সুন্দর অফিসে বসে?
মধুরো বসন্তেরো ফুলেরো উত্তাপে
যদি যায় বঙ্গবাজার ছাই হয়ে,
শাপলা ফুলের হাসিতে
যেতেও পারে ঢাকা শহর খয়ে।
প্রিয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
মতো নেতা হারিয়ে,
বাংলাদেশ বারে বারে
যাচ্ছে দুর্যোগের দুয়ারে।
ঢাকা শহরে রয়েছে
অপরিকল্পিত নগরায়ণ,
জনগণ জানতে চায়
রাজউকের কি প্রয়োজন?
জাতির পিতার মতো আজ
আর কেউ দিচ্ছে না ভাষণ,
দুর্নীতির সুতায় এক সাথে
গাঁথা নেতার সাথে প্রশাসন।
বাংলাদেশে ৮.৬ মাত্রার
ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে,
জেনেও প্রশাসন আজ শুধু
টকশো আর আলোচনায় রয়েছে।
বাংলাদেশে হয়তো ভূমিকম্প
আচমকা হয়ে গেলে,
লাখো লাখো লাশের মিছিল হলে
কর্তৃপক্ষের মায়াকান্নায় ভাসবে চোখ জলে।
যদি কোনদিন ভূমিকম্পে হাজার হাজার জনতা
ইট বালুর নীচে পড়ে চাপা,
হয়তো তখন নেতারা বলবে
রাজউকের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দিয়ে দেশ কাঁপা।
নেতাদের যদি না থাকতো
ছায়া, কায়া, মায়া, আশ্রয়, প্রশ্রয়,
রাজউক দায়িত্ব অবহেলায়
পেতো অনেক ভয়।
ভূমিকম্পে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে জান মাল
সরিয়ে নিতে দরকার বঙ্গবন্ধুর মতো কালজয়ী হুংকার,
বাংঙ্গালী জাতির অনূকূলে নূপুর আছে
নেই শুধু নূপুরের ঝংকার।
জনগণ যেনো আজ
প্রতিবাদের ভাষা হারিয়েছে,
নীরবে ভূমিকম্পের ক্ষতি
মানার জন্য রয়েছে দাঁড়িয়ে।