কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তর অফিসের ড্রাইভার রাজন এখন পরিবেশ খেকোদের বড় সোর্স। তার মাধ্যমেই অভিযানের আগেই খবর পেয়ে যায় ইটভাটা পাহাড়, বালি ও বন খেকোরা। আর এতে করেই প্রতিমাসে লাখ টাকার উর্ধে তার আয় এমনটি অভিযোগ করছেন স্থানীয় পরিবেশবাদী ও সংগঠকরা। এনিয়ে পরিবেশবাদী সংগঠন “কক্সবাজার পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন সোসাইটি” গত বছর ড্রাইভার রাজনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করলেও দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেয়নি কক্সবাজার অফিসের ডিডি। কক্সবাজার পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন সোসাইটি’র নেতারা এ নিয়ে ডিডি’র দিকে আঙ্গুল তুলে বলেন, রাজনের টাকার ভাগ ডিডিও পায়। তাই অভিযোগের কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তাদের অভিযোগ গুলো হলো, অফিসের তথ্য ফাঁস, ইটভাটা, পাহাড়, মাটি, বন ও প্যারাবন ধংসকারীদের সাথে ড্রাইভার রাজনের হট সম্পর্ক, রাজন তাদের চীফ অব সোর্স, তাই পরিবেশ অধিদপ্তর কোন অভিযানেই সফল হতে পারেনি গত দুইবছরে। অভিযানের আগেই অভিযানের খবর পেয়ে যান পরিবেশ ধংশকারীরা। আর এ খবর পাচারের মুল নায়ক ড্রাইভার রাজন এমনটি অভিযোগ তাদের। বিকাশে টাকা আনা, মোবাইলে কথোপকথনের রেকর্ড সহ বহু তথ্য প্রমান থাকার পরও টাকার জোরে টিকিয়ে আছে এমন অভিযোগ সবার। ড্রাইভারের স্ত্রীর বিকাশেও টাকা জমা হতো পরিবেশ ধংসকারীদের। সচেতন মহলের ধারনা ড্রাইভারের সাথে পরিবেশ অফিসের অনেকে জড়িত থাকতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে ড্রাইভার রাজনের সাথে দেখা করলে সাংবাদিকদের উপর ক্ষেপে যান। এক পর্যায়ে নিজ মোবাইলে সাংবাদিকদের ছবি তুলে ও ভিডিও করে। যদিও কিছু অভিযোগ বিষয়ে স্বীকার করেন এবং তার স্ত্রীর বিকাশ সিমটি ভেঙ্গে ফেলেছে বলেও জানান রাজন।
এবিষয়ে জানতে পরিবেশ অধিদপ্তর এর সহকারী পরিচালকের ট্রেনিং জনিত কারনে অনুপস্থিত থাকায় পরিদর্শক ফাইজুল কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি নতুন আসছেন তাই বিষয়টি জানেনা বলে জানান। এবং ডিডি আসলে বিষয়টি জানাবেন বলেও নিশ্চিত করেন।
পরিবেশবাদী ও সচেতন মহলের দাবী, ড্রাইভার রাজনকে দ্রুত সরিয়ে তথ্য প্রমান যাচাই করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক।