মতিউল ইসলাম মতি, কক্সবাজার:
হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যু দণ্ডের আদেশ দিয়েছেন কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রাজজ (২) বিচারক মোঃ সাইফুল এলাহি। মৃত্যু দণ্ড প্রাপ্ত আসামী হচ্ছে পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া বটতলী গ্রামের মৃত এনায়েত আলীর ছেলে আবদুল গফুর।রায় ঘোষণার সময় আবদুল গফুরসহ ১১ আসামী পলাতক ছিলেন।এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন হত্যা মামলার ২ নং আসামী হাজী মাসুদ রহমানের ছেলে এনামুল হক। এনামসহ অপর ১১ আসামীর বিরুদ্ধে ঘটনার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ না থাকায় বেকসুর খালাস দেয় আদালত।
ঘটনার বিবরণে জানাযায়, ১৯৯১ সালের ৫ মে সকাল ৮/৯ টার সময় স্থানীয় বটতলী নামক স্থানে জনৈক মোহাম্মদ হোসেনের চায়ের দোকানে ছমি উল্লাহর ছেলে আলী আজম (২২) কে পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রকাশ্যে গুলি করে দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল গফুর।এ সময় দা,কিরিছ,লাঠি,লোহার রড়সহ বেআইনি অস্ত্র সশস্ত্রে সজ্জিত ছিল অপারাপর আসামীরা।তারা ও আলী আজমকে আক্রমণ করে হত্যার উদ্দেশ্যে। আক্রমণের শিকার ও গুলিবিদ্ধ আলী আজম নিহত হলে ৯ মে তার পিতা ছমি উল্লাহ বাদী হয়ে আবদুল গফুরকে প্রধান আসায়ী করে ১২ জনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।এ মামলায় ডাক্তারসহ ৭ জনের স্বাক্ষী গ্রহন করা হয়। খালাস প্রাপ্ত অন্যান্য আসামীরা হচ্ছে, আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম,নুরুল আলম,মোজাহের আহমদ,মোহাম্মদ হোছন,আবদু সবুর, আলমগীর,আবদুল কাদের,ছৈয়দ আহমদ ও আমির হোসেন। সর্বসাং বটতলী, বারবাকিয়া, পেকুয়া, কক্সবাজার। রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী এড. সুলতানুল আলম বলেন, দণ্ড বিধি ৩০২ ধারায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আসামী আবদুল গফুরকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশদেন আদালত।উপস্থিত এনামুল হকসহ অন্যান্য পলাতক আসামীদের খালাস দেয়া হয়। আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. আবু সালাম।