বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ফুলছড়ি বনবিট এলাকায় স্বঘোষিত হেডম্যান আব্দু শুক্কুরের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে বনভূমি কেনাবেচা চলছে। থেমে নেই দখল বাণিজ্য। বসতি গড়তে দিতে হয় মাসোহারা। আবার টাকার বিনিময়ে উচ্ছেদও হয়। সবকিছুর ‘মাঝি’ হয়ে কাজ করছেন আব্দু শুক্কুর। তিনি ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও মরহুম মোকতার আহমদ হেডম্যানের ছেলে।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের আওতাধীন ফুলছড়ি বন বিটে প্রতিনিয়ত বনাঞ্চল দখল ও নতুন নতুন ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।
এমনকি প্রবাসে থেকেও অনেকে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জমি দখলে নিয়ে বসতি ও মার্কেট নির্মাণ করছেন।
এসব স্থাপনার সঙ্গে হেডম্যানের যোগসাজশ থাকার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৮ মার্চ) সকালে জুমনগর এলাকায় বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। উচ্ছেদকৃত বসতিগুলো হেডম্যান আবদু শুক্কুরের মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়েছিল।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকারের নির্দেশনায় অভিযানে বনভূমি দখলমুক্ত করা হয়।
অভিযানে ফুলছড়ি রেঞ্জার হুমায়ুন কবির ছাড়াও বিভিন্ন বিট কর্মকর্তা, রেঞ্জের স্টাফ, ভিলেজার ও সিপিজি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তবে আব্দু শুক্কুরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে উচ্ছেদকৃত বাড়ি তার নয় দাবি করেন।
ফুলছড়ি বিটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, বনবিভাগের জায়গায় অবৈধভাবে নির্মিত বসতবাড়ি উচ্ছেদ করা হয়। বনের জমি উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বনের জমিতে নির্মিত অবৈধ বসতঘর উচ্ছেদ করতে গেলে শুক্কুর মেম্বার নিজে ভেঙ্গে ফেলবে বলে জানান। পরবর্তীতে নিজে দায়িত্বে না ভাঙ্গায় অভিযান চালায় বন বিভাগ।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার জানান, দখলবাজিসহ নানা অভিযোগে আবদু শুক্কুরকে অনেক আগেই হেডম্যান থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে বনবিভাগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এরপরও হেডম্যান পরিচয় দেওয়া প্রতারণা, ঠকবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়।
বনভূমি দখলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।