নিজস্ব সংবাদদাতা,মহেশখালীঃ
চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের মহেশখালীর গোরকঘাটা রেঞ্জের ঝাপুয়া বিটের আওয়াতাধীন হোয়ানকের কালাগাজি পাড়ার বগাচতর ঘোনার লাগোয়া সরকারি প্যারাবনের শত শত বাইন গাছ কেটে অবৈধভাবে দখলবাজিতে মেতে উঠেছে ভূমিদস্যুরা। চিংড়ী ঘের নির্মাণ করলেও টাকা খেয়ে নিশ্চুপ রয়েছে রেঞ্জ কর্মকর্তাসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এমন অভিযোগ সচেতন মহলের।
জানা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার হোয়ানকের কালাগাজী পাড়ায় বন বিভাগের লোকজনকে ম্যানেজ করে বগাচতর ঘোনার লাগোয়া সরকারি প্যারবনের শতশত বাইন গাছ কেটে স্ক্রেবেটার দিয়ে প্রায় ৩০০ একর জায়গা দখল করে চিংড়ী ঘের নির্মাণ করে আসছে ওই সিন্ডিকেট।
স্থানীয়রা জানান, নাজেম উদ্দিন নাজু ,মতিন, শাহাবুদ্দিন,কুতুবদিয়ার এরশাদসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট মিলেমিশে প্রতিদিন ৪টি স্কেবেটার দিয়ে শতশত প্যারাবন কেটে প্রায় জায়গা দখল করে চিংড়ি ঘের নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। কয়েকদিন আগে বন বিভাগের লোকজন নামে মাত্র অভিযান চালিয়ে বাঁধ কেটে —-মামলা দিলেও আবার বাঁধ নির্মাণ করে যাচ্ছে সিন্ডিকেটটি। এতে চুপ রয়েছে স্বয়ং বনবিভাগের লোকজন।
এবিষয়ে জানতে নাজু ও মতিনকে বার বার ফোন করলেও তারা রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তী নিউজে তারা বক্তব্য দিলে তা প্রকাশ করা হবে।
নিরব থাকায় বন বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে নানা প্রশ্ম দেখা দিয়েছে। এর পর আবারও শত শত শ্রমিক দিয়ে ও স্কেভেটার দিয়ে প্যারাবন কেটে চিংড়ি ঘের নির্মাণ করে আসলেও বন বিভাগের লোকজনের নিরব ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।
ঝাপুয়া বিট কর্মকর্তা মাহাবুব জানান, কয়েকদিন আগে কালাগাজী পাড়ায় বগাচতরের লাগোয়া সরকারি প্যারাবনের বেশ কিছু গাছ কেটে চিংড়ি ঘের করার জন্য বাঁধ দেওয়া হয়েছে। তা আমরা কেটে দিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে স্থানীয় নাজু ,শাহাবুদ্দিন ও সহ কুতুবদিয়ার বাসিন্দা এরশাদের নেতৃত্বে প্যারাবনের গাছ কাটার তথ্য পেয়েছি। আমরা আবারও অভিযান পরিচালনা করব। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
স্থানিয় সচেতন নাগরিক জানান,(অডিও সংরক্ষিত) বিট ও রেঞ্জ কর্মকর্তাদের টাকার বিনিময়ে এসব জাতি বিধ্বংসী কাজ করে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা। এর থেকে পরিত্রানের উপায় নেই।
মহেশখালী উপজেলার পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, হোয়ানকের কালাগাজী পাড়ায় সরকারি প্যারাবন কেটে মৎস্য ঘের করছে ভূমিদস্যু ও পরিবেশ ধ্বংস কারী। তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
গোরকঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, উক্ত জায়গায় বন বিভাগের লোকজন অভিযান পরিচালনা করে তাদের চিংড়ী ঘের নির্মাণ করা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ###