1. newsiqbalcox@gmail.com : Somoy Bangla : Somoy Bangla
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪০ অপরাহ্ন

কে এই প্যারাবন নিধনকারী ভূমিদস্যু শাহাব উদ্দিন?

ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৩৬৫ ভিউ সময়

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মহেশখালীর হোয়ানকের পানির ছড়ার পশ্চিমে প্যারাবনের হাজার হাজার বাইন গাছ কেটে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী খাল দখল করে চিংড়ি ঘের তৈরীর নির্মাণ করা কে এই শাহাব উদ্দিন? তার খুঁটির জোর কোথায়? তার সাথে এই সিন্ডিকেটের সদস্য কারা। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, তিনি মহেশখালী উপজেলার হোয়ানকের মোহরাকাটা গ্রামের জামায়ত নেতা মৌলভী মহিবুল্লার সন্তান, বড় মহেশখালীর আরেক জামায়ত নেতা যুদ্ধাপরাধী ডা. আব্দুল আজিজের জামাতা,কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার বোনের মেয়ের জামাই এবং রাজাকার মোঃ জাকারিয়ার ছেলে ইয়াবা গড় ফাদার সালাউদ্দিনের খালাত ভাই। তিনি ও দীর্ঘদিন ধরে জামায়তের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।

তিনি পেশায় আইনজীবী হলেও বেঁচে নেন প্রতরণার কৌশল। তা অবলম্বন করে সম্প্রতি মহেশখালী বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে কয়েক হাজার লবণ চাষী থেকে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে লবণ চাষী কল্যাণ সমিতির নামে জনপ্রতি ২০০ টাকা করে নিয়ে একটি পরিচয় পত্র দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।

একটু পিছনে ফিরে দেখা যায় এই শাহাব উদ্দিনের যত অপকর্মঃ- ২০০২-২০০৪ সালের দিকে নিজ এলাকার অসহায়-অশিক্ষিত লোকদের টার্গেট করে কো-অপারেটিব সমতি নাম দিয়ে দৈনিক ২ টাকা করে প্রায় ৪০০-৫০০ লোকদের থেকে স্থানীয় ছৈয়দ করিম নামে এক ব্যক্তিকে ম্যানেজার নিয়োগ করে প্রতারণার মাধ্যমে ৩-৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। পরে
২০০৪ সালে মোহরাকাটায় সোনা মিয়া হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন এই শাহাব উদ্দিন। তিনি জোট সরকারের আমলে তার নিজ বাড়ীর আঙ্গিনায় থেকে অস্ত্রসহ তাকে গ্রেফতার করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বেশ দীর্ঘদিন জেল হাজতে ছিলেন। তারপর জেল থেকে বের হয়েই নিজ এলাকায় বেশ কয়েকবছর পর আসেন। এসেই কিছুদিন পর তিনি মালেশিয়া গমন করেন। মালেশিয়া গিয়ে এই প্রতারক শুরু করেন মানব-পাচার। ট্রলার যোগে মালেশিয়া গামি লোকদের টার্গেট করে ভিসা করে দেওয়ার নামে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চলে আসেন দেশে।

হোয়ানকের বাসিন্দা মালয়েশিয়া প্রবাসী সৈয়দ মোঃ আনোয়ার জানান, এই সাহাবউদ্দীন শত প্রবাসীর টাকা মেরে ২০১৮ সালে মালেশিয়ায় থেকে পালিয়ে যায়।

এরপরই তার যোগসাজস বাড়ে তার খালত ভাই গোরকঘাটার রাজাকার মৌলানা জকরিয়ার ছেলে ইয়াবা গড় ফাদার সালাহ উদ্দিনের সাথে। তার ইয়াবার একটি অংশ ঢাকার নারায়ণগঞ্জে লবনের বলগেট করে হোয়ানকের মোহারাকাটা দিয়ে পাচর হয়েছে বলে চাউর উটে।

এরপরই তিনি ভিন্ন কৌশল করে হোয়ানকের টাইমবাজারে একটি আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের একটি আউটলেট শাখা খোলেন। এই আউটলেট শাখায় ম্যানেজার হিসাবে পুলিশ হামলা মামলার অন্যতম আসামি আরিফুল হাসান সোহলেক নিয়োগ করেন। তিনসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর হাতে আত্মসমর্পণকৃত একারাম ও শীর্ষ সন্ত্রাসী পাহাড় খেকো ফিরোজ নিয়ে একটি সিন্ডিকেট করে বড় মহেশখালীর এডভোকেট সিরাজুর মোস্তফার ভাই মারুফুল হক,মোহরাকাটার ইসহাক,ছদর আমিনসহ আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জামায়তের লোকজন দিয়ে বড় একটি সিন্ডিকেট করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরীর নাম ভাঙ্গিয়ে হোয়ানকের পানির ছড়ার পশ্চিমে অমবশ্য খালীর বেক্সিমকো ঘোনার পাশে বন বিভাগের হাজার হাজার প্যারাবনের বাইন গাছ কেটে ও শত বছরের ঐতিহ্যবাহী খালসহ কয়েক-শ একর সরকারি জায়গা দখল করে চিংড়ি চাষ শুরু করেন। এঘটনায় বন বিভাগ ও মহেশখালী থানার ওসি প্রণব চৌধুরীর নেতৃত্বে উক্ত প্যারাবনে অভিযান চালিয়ে মাটি কাটার একটি স্কেভেটার গুড়িয়ে দেন এবং ভূমিদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সাথে আতত করে প্রতরণা করে পার পেয়ে যাচ্ছেন। আসলেই এই প্রতারক ও ভূমিদস্যুর জোর কোথায়????

শেয়ার করুন

আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন
© All rights reserved © 2021 somoybanglatv.com
Theme Customization By Monsur Alam