বার্তা পরিবেশকঃ
রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে মসজিদের নাম দিয়ে খতিয়ানি জায়গা দখলের অপচেষ্টায় বাধা প্রদান করায় হামলা চালিয়েছে একটি প্রভাবশালী মহল। আর এনিয়ে রামু থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও মামলা নিতে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগি পরিবার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগি কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের হাজিরপাড়া এলাকার মৃত মৌঃ জালাল আহমদের পুত্র মোবেশ্বর আহমদ ক্রয়সূত্রে বিএস ২১৮ নং খতিয়ানের ৮৮৮৮ নং দাগের ০.২৫৩৩ একর জমি শান্তপুর্ণ ভাবে ভোগ দখলে আছে। তার আগেও উক্ত জমি উর্ধ তামাদী কাল ধরে মুল মালিক থেকে বর্গা নিয়ে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে চাষাবাদ করে আসছে। কিন্তু গত কিছুদিন ধরে ঐ এলাকার মৃত হাজী গুরা মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ হাশেম গং এর লোলোপ দৃষ্টি পড়ে। সেই থেকে নানা বাহনায় উক্ত জায়গা দখলের চেষ্টা করে আসছে। একথা জানতে পেরে মোবাশ্বরের পুত্র আবু তালেব অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কক্সবাজার এ এমআর মামলা নং ৪২/২০২৩ দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত মামলায় বিগত ৪ ফেব্রুয়ারী /২০২৩ ইং তারিখ বিরোধীয় জায়গায় রামু থানাকে শান্তি শৃংখলা রক্ষার আদেশ দেন। কিন্তু ভুমিলোভি মোহাম্মদ হাশেম গং বিরোধীয় জায়গায় গত ৩ ফেব্রুয়ারী ২৩ ইং তারিখ সকালে পাকা স্থাপনা নির্মান করতে গেলে খবর পেয়ে মোবাশ্বের আহমদের পুত্র আবুল মনছুর আদালতে মামলা থাকার পরও কেন জায়গা দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মান করছে জানতে চাইলে মোহাম্মদ হাশেমের পুত্র ইমন, ভাই মোঃ ইদ্রিস , মোক্তার আহমদের পুত্র মোঃ ফরুখ ও মোঃ হাশেমের স্ত্রী শানু বেগম সহ কয়েকজন মিলে আবুল মনছুরের উপর অতর্কিত হামলা করে।
এখবর পেয়ে আবুল মনছুরকে উদ্ধারের জন্য তার বাবা মোবাশ্বের আহমদ, ভাই হাবিবুল ইসলাম ও আবু তালেব এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করলে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠান। এ নিয়ে ভিকটিম আবুল মনছুর বাদী হয়ে ১।মো: ইমন (২৫) পিতা মো: হাসেম ২।মো: হাসেম পিতা মৃত হাজি গুরামিয়া ৩।মো: ইদ্রিস (৪০) পিতা ঐ ৪।মো: ফারুক (২২) পিতা মোখতার আহমদ ৫। শাহনু বেগম (৪) স্বামী মো: হাসেম সর্বসাং হাজির পাড়া ০৭ নং ওয়ার্ড কচ্ছপিয়া রামু,কক্সবাজারকে আসামী করে রামু থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করলেও রামু থানার ওসি মামলা নিতে গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগ করেন বাদী। তিনি আরো বলেন, তাহার পরে অভিযোগ দেওয়ার পরও তার বিবাদীদের দেওয়া অভিযোগপত্র মামলা হিসাবে গ্রহন করেছেন। এখন তারা আরো বেপরোয়া হয়ে আমাদের উপর হামলা মামলা করবে বলে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এ নিয়ে আমরা পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এনিয়ে রামু থানার ওসি মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন, তদন্তপুর্বক যে পক্ষের আঘাত বেশী সেই পক্ষের মামলা নিয়েছি। অন্যপক্ষ সামান্য আঁচড় লেগেছে মাত্র, এটি মামলার পর্যায়ে যায়না তাই মামলা হিসাবে নিনাই।