নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর ও কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য আর্ন্তজাতিক সংস্থা জাইকার অর্থায়নে নির্মাণাধীন দীর্ঘ ৮৯৫ মিটার সেতু ও ৫ কিলোমিটার সড়কের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। নতুন বছরের উদ্বোধন করার লক্ষ্য কালারমারছড়ার আফজলিয়া পাড়াস্থ বামনাঘাট থেকে মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ ও গভীর সমুদ্র বন্দর সংলগ্ন সেতু ও বামনাঘাট হয়ে বদরখালী পুরাতন ষ্টেশন পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সড়কের কাজ ৭৫ ভাগ শেষ হয়েছে।
আগামী বছরের জুলাইয়ে সূম্পর্ণ কাজ শেষ করার লক্ষ্য কাজ করছে বলে জানান ঠিকাদারী প্রতিষ্টান মীর আকতার কোম্পানির উক্ত সাইডের প্রজেক্ট ম্যানেজার(পিএম) আবু সাদাত সায়েম। তিনি বাঁকখালীকে জানান, আমরা মাতারবাড়ি ও কালারমার ছড়ার আফজিলিয়া পাড়াস্থ বামনা ঘাট হয়ে বদরখালীর কিছু অংশ জুড়ে ২ প্যাকেজে কাজ পেয়েছি এবং দুই প্যাকেজের ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ আগামী বছরের মাঝামাঝি শেষ হবে বলে জানান।
সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে সড়ক নির্মাণ করার জন্য এলএ শাখর মাধ্যমে জমি অধিগ্রহণ করে জেলা প্রশাসন।জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জাইকার অর্থায়নে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের আওয়াতায় বদরখালী পুরাতন ষ্টেশন হইতে কালারমার ছড়ার আফজলিয়া পাড়াস্থ বমনাঘাট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সড়ক ও ৮৯৫ মিটার সেতুর জন্য ২৬৭ কোটি টাকা ও মাতারবাড়ি রাজঘাট হইতে মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প ও গভীর সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার ৩২০ কোটি টাকার কাজ পায় মীর আকতার কোম্পানি লিঃ। ২০২২ সালে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও জমি অধিগ্রহণ জটিলতা, করোনা পরিস্থিতি ও কাজে ধীর গতির কারণে নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে পারেনি।
স্থানীয় বাসিন্দা মোসাদ্দেক ফারুকী,আবু তাহের,মোহাম্মদ হোসেন,আবু জাহেরসহ অনেকেই বলেন, আমরা সরকারের উন্নয়নের জন্য জমি দিয়েছি কিন্তু অধিগ্রহণের টাকা এখনো পাইনি। বেশ কয়েকবার জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে শুনানি হয়েছে এবং অবগত করা হয়েছে। টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিলেও এখনো রহস্যজনক কারণে আমার টাকা উত্তোলন করতে পারিনি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী নেছারুল ইসলাম জানান, মীর আকতার কোম্পানি সড়কের কাজ ধীরগতির কারণে এখনো কাজ শেষ হয়নি। ফলে সড়কে যানযট লেগে থাকে এবং বেশ কিছু দিন ধরে দোকান বন্দ রাখতে হয়েছে এবং আমার ব্যবসায়িক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হায়দার বলেন মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর ও কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য বহনাঘাট হয়ে মাতারবাড়ি পর্যন্ত নির্মাণ হচ্ছে ব্রীজ ও সড়ক। উক্ত কাজ শেষ হলে প্রকল্প ও বন্দরে মালামাল আনতে আর কোন সমস্যা হবে না। উক্ত কাজ শেষ হলে চালিয়াতলী-মাতারবাড়ি সড়কের কাজ আরও দ্রুত গতিতে শেষ হবে।
এবিষয়ে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)আল্ আমিন পারভেজ জানান, উক্ত স্থানে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে ভূমি মালিকদের মধ্যে কয়েকটি মামলা রয়েছে। বেশ কয়েকটি মামলা শেষ করা হয়েছে। আর কিছু মামলা রয়েছে তা নিয়ে বেশ কয়েকবার শুনানি হয়েছে। এছাড়াও প্রায় জমির মালিককে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হয়েছে এবং বাকি গুলো নিষ্পত্তির পথে রয়েছে।
মহেশখালী-কুতুবদিয়া সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর ও কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের কালারমারছড়া বহনাঘাট হয়ে মাতারবাড়ি সেতুর কাজ প্রায় শেষ হচ্ছে। এই দিকে যোগাযোগ শুরু হলে উক্ত এলাকার চিত্র পাল্টে যাবে বলে জানান।