1. newsiqbalcox@gmail.com : Somoy Bangla : Somoy Bangla
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন

নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে শীত বস্ত্র ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ২৭১ ভিউ সময়

 

আবদুর রশিদ নাইক্ষ্যংছড়ি বান্দরবান ঃ

পার্বত্য বান্দরবান জেলা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার অরণ্যে ঘেরা দুর্গম পাহাড়ি জনপদ সীমান্ত ঘেষা ফুলতলী সেখানে সাধারণ মানুষের বসবাস দারিদ্র্য সীমার নিচে। মোটা কম্বল তো দূরের কথা দু’বেলা ভাত জোটাতে যাদেরকে এ পাহাড় থেকে ওই পাহাড়ে অবিরাম ছুটে চলতে হয় কাজের সন্ধানে। দুর্গম সীমান্ত ঘেষা ফুলতলী সেসব শীতার্ত ও অসুস্থ মানুষ পেল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির উষ্ণতার ছোঁয়া।


শুক্রবার ১৬ ডিসেম্বর শীতের সকাল ১০টায় ফুলতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১-বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন জোনে উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পরম মমতায় শীতার্ত মানুষের হাতে শীত নিবারণের কম্বল, শীতবস্ত্র, ফ্রী ঔষধ তুলে দেন জোন কমান্ডার অধিনায়ক লে. কর্ণেল রেজাউল করিম।
৩৮০ জন দুঃস্থ অসহায় মানুষের মাঝে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
বস্ত্র ও কম্বল বিতরণের পাশাপাশি একই সময়ে
১১বিজিবির মেডিকেল অফিসার
এ্যাডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন রাফি-উস হাসান ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার আবু রাহেদ মোসাহীদ তত্ত্বাবধানমেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা
করা হয় মেডিকেল ক্যাম্পেইন চলাকালীন প্রায় ৩৮০
জনের অধিক স্থায়ী বাসিন্দাদের মাঝে বিনামূল্যে
চিকিৎসা সেবা প্রদান ও ঔষধ সামগ্রী বিতরণ করা
হয়েছে।

 

শীতবস্ত্র বিতরণ ও মেডিকেল ক্যাম্পেইন কার্যক্রম
পরিচালনা করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ,
অধিনায়ক সহ আয়োজনের সাথে সম্পৃক্ত সবার প্রতি
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটেলিয়ান (১১ বিজিবি) বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্গম সীমান্ত ঘেষা অঞ্চল গুলোর অন্যতম,
নাইক্ষ্যংছড়ি পজেলায় বাংলাদেশ-মায়ানমার
সীমান্তে বিজিবি ক্যাম্পগুলোতে নিরলসভাবে দায়িত্ব
পালন করে যাচ্ছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি
ব্যাটেলিয়ান (১১ বিজিবি) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সহ  সীমান্তে বিভিন্ন সহযোগিতা ও উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্থানীয়
জনগণের আস্থা রেখে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে
দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
টাকার অভাবে কম্বল কিনতে না পারা ফুলতলি গ্রামের গ্রামের ৭০ বছর বয়সী আবদুর রশিদের কাছে একটি মোটা কম্বলই যেন পরম প্রাপ্তি। তার মতে বিজিবি নিরাপত্তার পাশাপাশি আমাদের শীত লাঘবেও কাজ করছে। কম্বল হাতে নিয়েই বিজিবির জন্য দু’হাত তুলে দোয়া করলেন বাম হাতির ছড়া এলাকার (৬৫) রহিমা খাতুন বললেন অভাবের সংসার। প্রচণ্ড শীতে খুবই কষ্ট পেতাম। এ কম্বল কিছুটা হলেও উষ্ণতার ছোঁয়া দেবে।

শীতবস্ত্র পেয়ে বাম হাতি ছড়া এলাকার নুর আয়সা (৭০) বলেন, শীত আসলে অনেক কষ্ট হয়, আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতাম। বিজিবি কম্বল দিয়েছে এখন রাতে ঘুমাতে কষ্ট হবে না।

দুর্গম এলাকার শীতার্ত ও দুঃস্থ অসহায় অসুস্থ মানুষজনের পাশে দাঁড়াতে পারাটা সৌভাগ্যের মন্তব্য করে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১, বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল রেজাউল করিম বলেন, আমাদের মানবিক কর্মতৎপরতা অব্যাহত থাকবে। পাহাড়ের শীতার্ত মানুষের পাশে থাকবে বিজিবি। বিওপিসমূহের আওতাধীন বিভিন্ন পাড়ার অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে ২০২২ সালে ২০১২ জনের মধ্যে শীতবস্ত্র ও ১১০৩ জন পাহাড়ি বাংগালীদের মাঝে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয় পর্যায়ক্রমে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।

শেয়ার করুন

আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন
© All rights reserved © 2021 somoybanglatv.com
Theme Customization By Monsur Alam