বার্তা পরিবেশকঃ
দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইসড রোগে আক্রান্ত হয়ে বাড়ীতে পড়ে থেকেও ইয়াবা মামলার আসামী হলেন ফরিদুল আলম। তিনি টেকনাফ হোয়াইক্ষ্যং তুলাতলি এলাকার মৃত ফজল করিমের পুত্র। মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, গত ০২ নভেম্বর রাত ৬ টার সময় টেকনাফ রঙ্গিখালী দারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার গমনের মুল ফটকের সম্মুখে র্্যাব-১৫ (সিপিসি-২ হোয়াইক্ষ্যং)এর একটি দল অভিযান চালিয়ে পূর্ব রঙ্গিখালী লোমাপাড়া এলাকার মৃত আবুল মঞ্জুরের ছেলে রফিকুল ইসলামকে ৬০০০ পিস ইয়াবা সহ আটক করে। এ সময় র্্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দুজন পালিয়ে যায় বলে উল্লেখ করেন এজাহারে। তারা হলেন টেকনাফ হ্নীলা ফুলের ডেইল এলাকার আব্দুল গফ্ফারের পুত্র মোহাম্মদ একরাম ও হোয়াইক্ষ্যং তুলাতলি এলাকার মৃত ফজল করিমের পুত্র ফরিদুল আলম( যে কিনা দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইজডে আক্রান্ত )। একজন আটক ও উপরোক্ত দুইজনকে পলাতক দেখিয়ে টেকনাফ মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেন মোঃ শাহজাহান আলী(পুলিশ), এসআই(স্ব) সিপিসি-২, হোয়াইক্ষ্যং, র্্যাব ১৫, কক্সবাজার। টেকনাফ মডেল থানায় মামলাটি ঐদিন রুজু করে থানার অফিসার ইনচার্জ। যার নং ৬।
সরেজমিনে দেখা যায়, মামলার ৩ নং আসামী ফরিদুল আলম প্যারালাইজডে আক্রান্ত ও বাড়ীর পাশেই তার একটি চায়ের দোকানে বসে থাকে সারাদিন। মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে সে হু হু করে কান্নায় ভেংগে পড়ে। সে জানায়, আমি দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইজডে আক্রান্ত ঘর ভিটার বাইরে যেতে পারিনা কিন্তু ২ তারিখ রাতে ২০ মাইল দুরে কি ভাবে ইয়াবা নিয়ে গেলাম? আর যেখানে আমি নিজে চলতেও কষ্ট হয় সেখানে কি ভাবে র্্যাবের তাড়া খেয়ে আমি পালাতে সক্ষম হলাম বুঝিনা। তিনি আরো বলেন, আমি ইয়াবা ব্যবসা করি এটি কোন একজন লোকও যদি বলে আমাকে ক্রসফায়ার দেওয়া হউক। আমি প্রশাসনের সহযোগিতা চাই। এ সময় এলাকাবাসী বলেন, ফরিদ দীর্ঘদিন ধরে বাড়ীতে পড়ে আছে। খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। কখনো বিশ্বাস করিনা সে ইয়াবা ব্যবসা করে।
তারা তদন্তকারী কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন করেন, সঠিক তদন্ত করে ফরিদকে মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমুলক মামলা থেকে অব্যহতি প্রদান করা হউক।