দশ লাখ টাকা যৌতুক দিতে না পারায় নববধুকে মেরে বাপের বাড়ী পাঠিয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার ঃ
জামালপুর জেলার সদর উপজেলার দেওয়ানপাড় গ্রামের ফারুক হোসেন মেয়ে মৌসুমী আক্তার’র সাথে দেলদুয়ার উপজেলার কাজী আবুল হোসেনের ছেলে কাজী রানার সাথে ২০১৯ সালে বিয়ে হয়, বিয়ের কিছুদিন পরেই তার আসল চেহারা ফুটে ওঠে যৌতুকের জন্য নববধূ মৌসুমীকে নানা ভাবে মানসিক ও শাররীক নির্যাতন করে আসছিল। সুখের সংসারের আশায় নববধূ মৌসুমী স্বামীর সব নির্যাতন মুখ বুজে সহ্য করে যায়। কিন্তু পাসন্ড লোভি স্বামী কাজী রানা দিনের পর দিন শাররীক ও মানসিক ভাবে নির্যাতনের মাত্র বাড়াতে থাকে। এক পর্যায়ে গত ১৫ আগস্ট ২০২২ তারিখ স্বামীর ইন্দনে শাশুড়ী গায়ে গরম তেল দিয়ে মৌসুমীর শরীর ঝলসে দেয় এবং তার বাপের বাড়ী পৌছে দেয়। ভুক্তভোগি মৌসুমি আক্তার বলেন, বিয়ের পর নানা নির্যাতনের পরও আমি ভবিষ্যতে সুখ হইবে এই আশায় ধৈর্য্যের সঙ্গে সংসার করিতে থাকি।ঘটনার কয়েকদিন পূর্বে কাজী রানা তাহার পিতা মাতা সহ দুর্লোর্ভী আত্নীয় স্বজনদের কু- পরামর্শে আমার পরিবারের নিকট ১০,০০,০০০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে রানার মা আমার শরীরে গরম তেল দিয়ে তাদের বাড়ী থেকে বের করে দেয়। এমন কি তালাক দেওয়ার হুমকী দেয়।
এর আগেও একবার আমাকে মারধর করে বাড়ী পৌছে দিলে আমি আমার পিত্রালয়ে অবস্থান করি। প্রায় মাস তিনেক আমি আমার স্বামীর জন্য অপেক্ষা করি দেখি তার ভুল ভাঙ্গে কিনা তার পর আমি জামালপুর জজ কোর্টে মামলা করি সেই মামলাতে সে দুই বার জেলখানায় ছিল। জেলখানা থেকে র্কোটের মাধ্যমে ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে আমাকে ডির্ভোস হয়।
তালাক হওয়ার পর গত ১৮ মার্চ ২০২২ ছয় লাখ টাকা কাবিনে আবার আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আমাকে একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে রাখে। তার পর আমি কাজী রানার কাছে আমাদের বিয়ের কাবিন নামা চাই। রানা আমাকে একটা কাবিন নামা দেন। এর কিছু পরে আমি রানাকে বলি রানাদের বাসায় যেতে কিন্তু রানা আমাকে তাদের বাসায় নেয় না। আবারও চলে আমার উপর নির্যাতন।
আমি ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছি।
কিন্তু আমার স্বামী রানা এখন আমাদের বিয়েটা কে অস্বীকার করে যাচ্ছে।সে আমার নামে মিথ্যা একটা নিউজ পত্রিকা করিয়ে আমাকে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে দিয়েছে। এখন সে আমাকে মেরে ফেলার হুমকিও দিতেছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানাই আমি বাঁচতে চাই এই বখাটে লম্পট স্বামীর হাত থেকে।
মৌসুমী আরো বলেন, বিষয়টি টাঙ্গাইল পুলিম সুপার বরাবরে লিখিত জানলেও কোন ধরনের সুরাহা হয়নি। কোর্টে মামলা করলে আমাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিচ্ছে। আমি দরিদ্র ঘরের অসহায় মেয়ে প্রমাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করি।