নজরুল ইসলাম, কুতুবদিয়াঃ
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া চ্যানেল পারাপারে ভাড়া নৈরাজ্য ও ভোগান্তির জন্য স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে দায়ী করেছেন ভুক্তভোগীরা। যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন স্থানীয় প্রশাসনের ইন্দন ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। করোনার ভাইরাসের দোহাই দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ইজারা শর্ত ভঙ্গ করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে ইজারাদার সিন্ডিকেট। এখন জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে স্থানীয় প্রশাসনকে কমিশন দিয়ে ভাড়া আরও একধাপ বাড়িছে তারা।
মির্জা নামের একজন ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, পুরাতন ইজারাদারের তুলনায় নতুন ইজারাদার সিন্ডিকেট আরও শক্তিশালী। ফলে পারাপার ঘাটের ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী ভোগান্তি আগের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে। ইজারার কোন শর্তই তারা মানছে না। অতিরিক্ত ভাড়ার সাথে অতিরিক্ত যাত্রী। যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
উপকূল বাঁচাও আন্দোলন ও কক্সবাজার যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সাংবাদিক হুমায়ুন সিকদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাঘব বোয়ালদের সিন্ডিকেটই পারাপারের নৈরাজ্য জিইয়ে রেখেছে। দ্বীপবাসী এর প্রতিকার চায়।
শত শত বছর ধরে দেড় লক্ষ কুতুবদিয়াবাসী পারাপার ভোগান্তিতে রয়েছে। অবহেলিত দ্বীপবাসী কুতুবদিয়া চ্যানেল পারাপারের দুর্ভোগ লাগবে ফেরি, সী ট্রাক বা ভাসমান সেতুর দাবি জানিয়ে আসলেও রাঘব বোয়ালদের পকেট ভারি করার জন্য ওই দাবি বাস্তবায়নের মুখ দেখছেনা বলে অভিযোগ রয়েছে। ঘাইট্রাদের জিম্মি দশা থেকে মুক্তি চায় ভুক্তভোগী লোকজন।
সাধারণ মানুষের এসব অভিযোগ অনুসন্ধান করতে গিয়ে প্রমাণ মিলেছে ইজাদারের বক্তব্যে। বড়ঘোপ ও দরবার ঘাটের ইজারাদার কামরুল ইসলাম সিকদার সকালের সময়কে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যার মৌখিক অনুমতি নিয়ে স্পীড বোট ভাড়া ১২০ টাকা এবং ডেনিশ বোট ভাড়া ৪০ টাকা করা হয়েছে। ইজারা শর্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যার সাথে যোগাযোগ করতে বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যার মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান।