সংবাদদাতাঃ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে শূন্যরেখা–সংলগ্ন এলাকায় পরিবারগুলোর তালিকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রশাসন থেকে ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলোর তালিকা করতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে যেসব পরিবার সীমান্তরেখা বরাবর বসবাস করছেন এবং চাষাবাদের জমি রয়েছে, তালিকায় সেসব পরিবার থাকবে। পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গেলে পরিবারগুলো সরিয়ে নেওয়ারও চিন্তাভাবনা করছে প্রশাসন। এখানে আনুমানিক ৩০০ পরিবারের ১,৫০০ সদস্য রয়েছেন।
আজকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পরিস্হিতি পর্যবেক্ষণে যান ডিসি এবং এসপি। তাদের সাথে নাইক্ষ্যংছড়ির জনপ্রতিনিধিদের মীটিং শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিবারগুলোর সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় কী পরিমাণ জমিজমা রয়েছে, তা–ও তালিকার মধ্যে থাকবে। যদি কোন কারণে অপ্রীতিকর পরিস্হিতি হয়েও যায় তাতে যেন তাদের আসল অংশীদারগণ জমিজমা বুঝে পান।
এদিকে সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি মোটেও চাননা সিংহভাগ জনগণ। তাদের মতে যুদ্ধ হলে তারা নিজেদের ভিটেমাটি ছেড়ে কই যাবেন তা নিয়ে উৎকন্ঠায় আছেন। গত ১ মাস ধরে সীমান্তের আর্থিক অবস্থা থমকে গেছে। বিশেষ করে দিনমজুররা কোন কাজ পাচ্ছেননা, কৃষকেরা নিজেদের জমিতে যেতে পারছেননা। এখনো তাদের সাহায্যে কোন ত্রাণ পৌঁছায়নি। এমতাবস্থায় সীমান্ত নিকটবর্তী লোকজন চান যাতে পরিস্থিতি দ্রুত শান্ত হয়ে ওঠে।