কুতুবদিয়া প্রতিনিধিঃ
কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে প্রাণচাঞ্চল্যতা। সম্মেলনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে সম্ভাব্য প্রার্থীরা কাউন্সিলরদের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সমর্থন চাইছেন নেতাকর্মীদের। ভোট চাইছেন কাউন্সিলরদের। সমর্থকেরাও পছন্দের প্রার্থীদের জন্য প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রচারণা ও সমর্থনে এগিয়ে আছেন বর্তমান কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ তাহের।
এগিয়ে থাকার কারণ হিসেবে জানা গেছে, হাজী মোহাম্মদ তাহের কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সুদীর্ঘ ৪৭ বছরের (১৯৭৬-২০২২) রাজনৈতিক জীবনে নিজেকে বারবার ত্যাগী রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রমাণ করেছেন । সুদীর্ঘ ৪৭ বছর সুষ্ঠু ধারায় নিজেকে সব বিরোধ ও গ্রুপিং এর ঊর্ধে রেখে রাজনীতি করেছেন। তিনি সব সময় নিজেকে কর্মী হিসেবেভেবে রাজনীতি করেন। তার রাজনৈতিক জীবনে তিনি সব সময় তার সিনিয়র নেতাদের সম্মান করেছেন। তাদের সাথে কোনদিন রাজনৈতিক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। তিনি রাজনীতি করেছেন সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠু ধারায়। তৃণমূলে সিনিয়রদেরকে সম্মান দিয়েছেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি ছাড় দিতে শিখেছেন এবং শিখিয়েছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একটা কথা “ত্যাগী ও তৃণমূলের নেতাদের যদি একটা টাকাও না থাকে তবে সে হবে নৌকার মাঝি।”
কুতুবদিয়ার কাউন্সিলরদের প্রতি উদ্দেশ্য করে হাজী মোহাম্মদ তাহের বলেন, আপনাদের প্রতি আমার একটাি দাবি, “টাকার কাছে মাথা নত করবেন না, ত্যাগী ও তৃণমূলের নেতাদের মূল্যায়ন করুন। কুতুবদিয়ার রাজনীতি সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠু ধারায় ফিরে আসবে এবং শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হবে। আর যারা টাকার রাজনীতি করে তারা দুঃসময়ে দলের সাথে থাকে না। কোন কারনে যদি দল ক্ষমতা থেকে চলে যায়। টাকার রাজনীতি তখন কারেন্ট এর গতিতে দল বদল করবে। তাতে কোন ভুল নেই। কুতুবদিয়ার রাজনীতিতে ত্যাগী ও তৃণমূল রাজনীতিবিদদের মূল্যায়ন চাই।
বেশির ভাগ কাউন্সিলর জানিয়েছেন,
কুতুবদিয়া আওয়ামীলীগের সম্মেলনে এই তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চায় কুতুবদিয়ার তৃণমূল আওয়ামীলীগ ও কাউন্সিলরবৃন্দ। কুতুবদিয়ার রাজনীতিকে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল ধারা বজায় রাখার জন্য ও শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সাধারণ সম্পাদক পদে হাজী মোহাম্মদ তাহেরই একমাত্র যোগ্য বলে মনে করেন তারা।