1. newsiqbalcox@gmail.com : Somoy Bangla : Somoy Bangla
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৮:০০ অপরাহ্ন

ঘুষের ১ লাখ টাকা ফেরত দিলেন ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তা

ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৪৪৯ ভিউ সময়

নিজস্ব প্রতিবেদক
ঘুষের একলাখ টাকা ফেরত দিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ইমরান হোসাইন। ঘুষ গ্রহনের ৪৮ ঘন্টা পর বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের একটি সালিশি বৈঠক শেষে অভিযোগকারীকে ওই টাকা ফেরত দিয়েছেন তিনি।

এ ঘটনায় কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর কক্সবাজারের সদস্য পরিচয়ধারী রিদুয়ানকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে প্রশাসন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্যমতে, গত ৬ সেপ্টেম্বর রামুতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তেল পরিমাপে সব ঠিক পাওয়ার পরেও সেদিন পরিমাপে তেল কম দেয়ার মিথ্যা অভিযোগ তুলে রামু চৌমুহনীর নাহার ফিলিং ষ্টেশনের বিরুদ্ধে। প্রথমে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করার ধমক দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক মো. ইমরান হোসাইন। পরে ফিলিং ষ্টেশন কর্তৃপক্ষ এত টাকা জরিমানা দিতে অপরাগকতা প্রকাশ করলে সীলগালা করে দেয়া হয় প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু সীলগালা করার পরে ক্যাব ককক্সবাজারের সদস্য পরিচায়ধারী রিদুয়ান ফের ওই ফিলিং ষ্টেশনে গিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে ঘুষ দাবী করে। পরে রিদুয়ানের সাথে ঘুষের বিনিময়ে রফাদফা করে নাহার ফিলিং ষ্টেশন কর্তৃপক্ষ। এরপর সেই সন্ধ্যায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক মো. ইমরান হোসাইন আবারো নাহার ফিলিং ষ্টেশনে যান। আগের জরিমানার স্থলে নতুন ২০ হাজার টাকা জরিমানা স্লিপ দিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা গ্রহন করে ষ্টেশনের সীলগালা তুলে নেয়।

আরো জানানো হয়, এ বিষয়টি ফিলিং ষ্টেশন কর্মকর্তারা ষ্টেশনটির মালিক আমেরিকা প্রবাসী এজাজুল ওমর চৌধুরী প্রকাশ বাট্টু মিয়াকে জানান। তার পরামর্শ মতে নাহার ফিলিং ষ্টেশন ম্যানেজার আবদুল্লাহ কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগ পেয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি সালিশী বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ঘুষের ১ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন ইমরান হোসাইন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার প্রেসক্লাব সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী , কক্সবাজারের এডিএম আবু সুফিয়ান, তিনজন নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট, অভিযুক্ত ইমরান হোসাইন ও তার সহযোগী রিদুয়ান এবং অভিযোগকারীরা উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষ্য প্রমানে ঘুষ নেয়ার বিষয়টি প্রমানিত হয়েছে। প্রথমদিকে ঘুষ নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেও এক পর্যায়ে ক্যাবের রিদুয়ান ঘুষ নেওয়ার কথাটি স্বীকার করে বসেন,

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) আবু সুফিয়ান বলেন, রিদুয়ানের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হচ্ছে এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক মো. ইমরান হোসাইনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।

তবে, অভিযোগের বিষয়ে জানতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. ইমরান হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। রিং হলেও ফোন রিসিভ না করে কেটে দেন তিনি।

শেয়ার করুন

আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন
© All rights reserved © 2021 somoybanglatv.com
Theme Customization By Monsur Alam